স্টাফ রিপোর্টার : মরণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার জনগণের মাঝে করোনা প্রতিরোধক টিকা প্রদানের যে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়ে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান আবীর আহাদ বলেন, স্বাধীনতার সূর্যসন্তান ও দেশের প্রবীণ নাগরিক বিবেচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জরুরিভিত্তিতে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আমি আবেদন জানাচ্ছি ।

আজ এক বিবৃতিতে উপরোক্ত আবেদন জানিয়ে আবীর আহাদ বলেন, দেশের অধিকাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা বয়সী, আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও নানান রোগসহ চলমান করোনা ভাইরাসের চরম ঝুঁকিতে আছেন । ইতিমধ্যে বহু মুক্তিযোদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন । করোনা থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিগণের বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, এ রোগের চিকিৎসা চরম ব্যয়বহুল । দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে এতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেবা নেয়া একেবারেই সম্ভব নয় ।

আবীর আহাদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স, আর্থিক দূরাবস্থা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকার বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদেরকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় এনে তাদের জন্যে প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষ কাউন্টার খোলার সদয় নির্দেশনা দেয়ার জন্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি । যেহেতু প্রাথমিক পর্যায়ে স্বল্পসংখ্যক মানুষকে করোনা প্রতিরোধক টিকা প্রদান করা হবে, সেক্ষেত্রে প্রতিটি হাসপাতালে বা টিকা প্রদান স্থলে যে ভিড় সৃষ্টি হবে, সেই ভিড় অতিক্রম করে বৃদ্ধ ও রোগাক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে টিকা নেয়া সম্ভব হবে না । ফলে মানবিক বিবেচনায় তাদের জন্যে টিকা প্রদানস্থলে আলাদা কাউন্টার থাকলে তারা সহজেই টিকা নিতে পারবেন । এ ছাড়া অধিকাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা অন্যান্য জটিল রোগেও আক্রান্ত । তারা মাসিক যে যৎসামান্য ভাতাটি পান তা দিয়ে সংসার চালানোর পর তাদের পক্ষে চিকিত্সার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয় । এজন্য মাসিক ভাতার বাইরে একটা উপযুক্ত চিকিৎসা ভাতা প্রদানের জন্যেও তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ।

(এ/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২০)