বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে ফুটপাতের শীতের পোশাক বিক্রেতাদের দুর্দিন যাচ্ছে। ক্রেতা শূণ্যতায় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকছে হচ্ছে তাদের। এককেজন ব্যবসায়ী দেড় থেকে দুই লাখ টাকার পুরনো শীতের পোষাক দোকানে তুলে এখন হতাশায় ভুগছেন। অগ্রহায়ন মাসের এই মাঝামাঝি সময়ে হাড় কাঁপানো শীত পড়ার কথা। অথচ জেলার ৯টি উপজেলায় এবার শীতের দেখা নেই। সেকারণে স্বাভাবিক পোষাক পরেই চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষকে।

প্রতিবছর শীতের শুরুতেই জেলা ও উপজেলা সদররের অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে রকমারি শীত পোষাকের পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা। প্রত্যেক দোকানে নারী-পুরুষসহ সব বয়সি মানুষের প্যান্ট, ব্লেজার, সোয়েটারে পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের জামা-কাপড় রয়েছে।

শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা স্কুল মাঠে মৌসুমী শীত কাপড় ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন জানান, কয়েকবছর ধরে তিনি এই মৌসুমি ব্যবসা করছেন। এবার দেড় লাখ টাকার মাল উঠিয়েছেন। গতবছর এইসময় প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। এবার সেখানে বিক্রি দেড়-দুই হাজারে নেমে এসেছে।

পুরনো পোষাকের ব্যবসায় অনেক লাভ। সেই আশা নিয়ে এবার দুই লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে প্রথম ব্যবসা শুরু করেছেন কামাল হাওলাদার। কিন্তু ক্রেতা শূণ্যতায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।

আ. রাজ্জাক তালুকদার জানান, অন্যান্য বছর শীতের শুরু থেকেই ক্রেতার চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছে। জমজমাট বিক্রি হতো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। এবার বিক্রি নেই বললেই চলে। অন্য ব্যবসায়ীরাও বলেছেন এই হতাশার কথা।

বিভিন্ন উপজেলার ফুটপাতের শীতের পোষাক বিক্রেতারা জানান, একেতো শীত নেই। তার ওপর করোনা আতঙ্কে মানুষ পুরনো কাপড়ের দোকানে তেমন একটা আসছে না। যার ফলে, এবার ব্যবসায় চরম লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

(এসএকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০২০)