ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনের ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের সময় কাঠের পাটাতন ব্যবহার করা হয়। 

স্বাধীনতার পর আশির দশকে কাঠের পাটাতন পরিবর্তন করে কনক্রিটের পাটাতন সংস্থাপন করা হয়। এই কংক্রিটের পাটাতন দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সিঁড়িসহ অনেক স্থান ভেঙ্গে গেছে। ব্রিজের কয়েকটি স্থানে লাল কাপড় টাঙ্গিয়ে ঘেরা (চরম ঝুঁকিপূর্ণ) চিহ্ণিত করা হয়েছে। যাতে ভাঙ্গা স্থান দিয়ে কেউ চলাচল না করে। গুরুত্বপূর্ণ এই ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। অবস্থাদৃষ্টে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।

বৃটিশ আমলে স্থাপিত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বৃহত্তম ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশন। প্রতিদিন এই ষ্টেশনের উপর দিয়ে আন্ত:নগর ট্রেনসহ প্রায় ৩০ টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেনেরই ঈশ্বরদী জংশনে স্টপেজ রয়েছে। এজন্য হাজার হাজার ট্রেনযাত্রী ষ্টেশনে যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হত হয়। স্থানীয়দের দুইপারে চলাচলে এই ফুটওভার ব্রিজ গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বরদী শহরের মাঝ দিয়ে রেললইন স্থপনের কারণে শহরটি পূর্ব ও পশ্চিম ভাগে বিভক্ত। পূর্ব পাশে ঈশ্বরদী বাজারসহ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এছাড়া পূর্বপাশের স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের এই ব্রিজ পাড় হয়ে সরকারি এস এম উচ্চ বিদ্যালয় এবং বালিকা বিদ্যালয়ে যেতে হয়। আবার পশ্চিম পাশের কলেজগামী শিক্ষার্থিদেরও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ পাড় হয়ে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ও মহিলা কলেজে যেতে হয়। নাটেরের লালপুর উপজেলায় যাতায়াতেও ব্রিজ পার হতে হয়। যানমালের আশংকা নিয়েই ব্রিজ দিয়ে লোকজন অতি সর্ন্তপনে এখন চলাচল করছে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিইএন-২) আব্দুর রহিমকে সংস্কারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সংস্কার নয়, নতুন করে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। রেলওয়ের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন ব্রিজ নির্মাণ হবে। এজন্য টেন্ডারও হয়ে গেছে। অল্পদিনের মধ্যেই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০২০)