নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন মোছাম্মৎ রেশমা বেগম নামের এক শিক্ষিকা। তিনি পৌর এলাকার  নহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও  নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি। 

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে। শিক্ষিকা রেশমা দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এটিএম ফোয়াদ হাসানের স্ত্রী। ছিনতাইকারীরা রেশমা বেগম ও তার ছেলে সাইহানকে গলায় ছুড়ি ধরে চেইন ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন।

সূত্রে জানা যায়, সরকারী শিক্ষকদের ইএফটি ফরম পুরন করে মঙ্গলবারে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ৫ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন শিক্ষিকা রেশমা। পথিমধ্যে নহরপুর স্কুলের সামনে যাওয়া মাত্রই কালো রঙ্গের মটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত ২ জন ছিনাতাইকারী শিক্ষিকা মোছাম্মৎ রেশমা বেগম ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের সাইহানের রিকশা গতিরোধ করে।

এসময় ছিনতাইকারীরা রেশমা বেগম ও তার ছেলে সাইহানের গলায় ছুড়ি ধরে রাখে। এ পর্যায়ে অস্ত্রেরমূখে জিম্মি করে শিক্ষিকার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন টেনে ছিড়ে মটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকালে ছিনতাইকারীরা শিশুর গলায় চুরি ধরে হুমকি দেয়- চিৎকার করলে শিশুকে ছুরিকাঘাত করবে।

ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নবীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সমীরন চন্দ্র দাশ, এসআই শামসুল হক, এস আই মৃদুল কুমার ভৌমিক, এস আই আঃ ওয়াদুদসহ সঙ্গীয় একদল পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম বলেন, নবীগঞ্জ পৌরসভায় এরকম ঘটনা আগে কখনোই ঘটেনি। একজন শিক্ষিকা ও সন্তানকে অস্ত্র ধরে ছিনতাই করার ঘটনাটি ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। অতি দ্রুত ছিনাতাইকারীদের গ্রেফতারের জন্য আইনশৃংখলাবাহিনীর প্রতি অননুরোধ জানাই।

নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম এবং উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ চৌধুরীও অতি দ্রুত ছিনাতাইকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, অতি দ্রুত এই ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।

(এম/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০২০)