চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : নিজের বাবার কাছ থেকে টাকা নিতে বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অপহরণ’ নাটক সাজিয়েছে চট্টগ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। ছয়দিন নিরুদ্দেশ থেকে মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফেরার পর জট খুলে এ অপহরণ নাটকের।

চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকার ওয়াসিয়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী এ ঘটনা সৃষ্টি করে। নাটককারী শিক্ষার্থীর নাম মো. সাহেদ (১৪)।

সে চান্দগাঁও থানা এলাকার চর রাঙামাটিয়া সালেহ আহামদ চৌধুরী বাড়ির কাতার প্রবাসী মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে বলে পুলিশ জানায়।

গত ১৩ অগাস্ট রাতে বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হয় সাহেদ। পরে কাতারে তার বাবার কাছে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় সাহেদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয় চান্দগাঁও থানায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) চান্দগাঁও থানার এসআই আরিফুর রহমান জানান, আশিক ও মিজান নামে দুই বন্ধুর সাথে পরামর্শ করে অপহরণ নাটক সাজায় সাহেদ।

টাকার জন্য সাহেদ ও তার বন্ধুরা মিলে এ অপহরণ নাটক সাজায় জানিয়ে তিনি বলেন, “নিজেদের নিরাপদে রাখতে মিজান আরাফাত নামে তার পরিচিত এক যুবককে ঠিক করে সাহেদকে রাখা ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।”

এসআই আরিফ জানান, ১৪ অগাস্ট ভোরে সাহেদ রাঙ্গুনিয়া মিনা গাজীর টিলা এলাকায় গিয়ে আরাফাতের মাধ্যমে কাতারে তার বাবার কাছে ফোন করিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

“পরে তা পাঁচ লাখ টাকায় নেমে আসে।”

ঈদের পর সাহেদের বাবা কাতার গেছেন জানিয়ে তিনি আরও জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনায় রোববার রাতে তিনি দেশে ফিরে এসে মামলা করেন।

এসআই আরিফ জানান, মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ মুক্তিপণের ব্যাপারে যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল সে নম্বরটির থেকে সাহেদের বন্ধু মিজানুরের সঙ্গেও যোগায়োগ করা হয়েছিল বলে জানতে পারে।

এরপর সোমবার বিকালে মোহরা এলাকা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করার পর মঙ্গলবার সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় বলে জানান তিনি।
এই খবর জানার পর রাতে সাহেদ বাসায় ফিরে আসে বলে জানান এসআই আরিফ।

তিনি জানান, নিরুদ্দেশ হওয়ার পর সাহেদ ও আরাফাত বিভিন্ন সময় তাদের স্থান পরিবর্তন করে হাটহাজারীতেও আশ্রয় নেয়।

এদিকে সাহেদও বুধবার বিকালে আদালতে জবানবন্দি দেয় বলে জানিয়েছেন এসআই আরিফ।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ২০, ২০১৪)