তপু ঘোষাল, সাভার : জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্প ও উপজেলা নদী রক্ষা কমিটি সাভার এর যৌথ আয়োজনে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সন্নিকটে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে নদ-নদীর দখলদারিত্ব, দূষণ ও অন্যান্য অপব্যবহার রোধ এবং নদী রক্ষায় উদ্বুদ্ধকরণ ও জন-সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক দিনব্যপী কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে ধলেশ্বরী, তুরাগ ও বংশী নদী সংশ্লিষ্ট সাভার উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, সংবাদ মাধ্যম প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদসমূহের প্রতিনিধি, জেলে ও কৃষকসহ মোট ৬২ জন অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালায়ের যুগ্ন-সচিব (পরিকল্পনা) জনাব রফিক আহম্মদ সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসাবে এবং ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ন-সচিব জনাব ইকরামুল হক ও সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজিব বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন। সভাপতির সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সমীক্ষা কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করেন জনাব মনির হোসেন চৌধুরী, এনভায়রনমেন্ট এক্সপার্ট।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ ধলেশ্বরী, তুরাগ ও বংশী নদীর দখল, দূষণ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন প্রকল্পের পানি বিশেষজ্ঞ জনাব সাজিদুর রহমান সরদার।

মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সাভারস্থ সর্বজনাব আব্দুল কাদের তালুকদার, সভাপতি-সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোট, মোঃ সালাউদ্দিন খান নঈম, সাধারণ সম্পাদক নাগরিক কমিটি, মুহাম্মদ শামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক, নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদ, মোঃ বিল্লাল হোসেন বেলাল-বীর মুক্তিযোদ্ধা, রোকেয়া হক, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যন, মোঃ কায়কোবাদ হোসেন-এনজিও সমন্বয়ক, মোঃ আব্দুর রশিদ, প্যানেল চেয়ারম্যান ভাকুর্তা ইউনয়ন পরিষদ ও কৃষিবিদ ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম মোল্লা, সভাপতি, নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে নদ-নদীর দখলদারিত্ব, দূষণ ও অন্যান্য অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং নদী রক্ষার ব্যপারে সবাই একমত পোষণ করে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, নদীর সীমানা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ সম্পন্ন করা, নদীর পানি দূষণরোধ, নদীর প্রবাহ বজায় রাখার জন্য ড্রেজিং করা, নদী ভাঙ্গন রোধ এবং নদীকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা বর্তমানে অপরিহার্য় হয়ে পড়েছে। এতদঃবিষয়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

(টিজি/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০২০)