আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পেঁয়াজের রাজধানী নামে পরিচিত। এই উপজেলায় মোট আবাদী জমির ৮৮% বা ৯০% জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়। এখন জমিতে পুরোদমে হালি পেঁয়াজ রোপণের ধুম পড়ে গেছে। বীজ থেকে উৎপাদিত চারা রোপণ করা হচ্ছে মাঠ জুড়ে।

সালথা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় গত বছর ১১ হাজার ৯৪৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ২৪০ হেক্টরের জমিতে পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হবে। যা মোট আবাদী জমির ৯০% পিয়াজ চাষ সম্পন্ন হবে। এ উপজেলায় লাল তীর কিং, তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি-১সহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ রোপণ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের খর্দ্দ ফুকরা গ্রামের পেঁয়াজ রোপণকারী পবিত্র সরকার ও রামকান্তুপুর ইউনিয়নের সালথা গ্রামের পিয়াজ চাষী মোবারক হোসেন বলেন, এ বছর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠেই পেঁয়াজ চারা রোপণের ধুম পড়ে গেছে। প্রতিদিন ভোর থেকে পেঁয়াজের চারা উত্তোলনের পর জমিতে রোপণ করা হয়। জনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করে কাজ করা হচ্ছে। তবে একযোগে কাজ শুরু হওয়ায় শ্রমিকের চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ রোপণ সম্পন্ন হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জিবাংশু দাস বলেন, পেঁয়াজ উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা যাতে সঠিকভাবে অর্জিত হয় সেজন্য সরকার কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ২ হাজার ৯০০ কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার প্রদান করেছে। পেঁয়াজ উত্পাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

(এন/এসপি/জানুয়ারি ০৪, ২০২১)