নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যেদের মারধর করে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে বাড়ী দখলের অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগির স্বামী ও শশুরের ওপর। ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ৩ নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর উরিয়া গ্রামের সেলিম বাজারে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালে চর উরিয়া গ্রামর মাহফুজুল হকের মেয়ের লতিফা খাতুন (৩২) এর সাথে ভোলা জেলার শাহবাজপুরের রুস্তম মৃধার পুত্র জাকের সাথে বিয়ে হয়। ২০১০ সালে লতিফার বাবা মাহফুজুল হক চর উরিয়া গ্রামের সেলিম বাজার সংলগ্ন ১ একর ৫৩ ভূমি খরিদ করে দেন, লতিফা খাতুন ক্রয়কৃত ভূমিতে একটি ঘর করে স্বামী জাকেরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন, স্বামী জাকের পরকিয়া আসক্তি হয়ে প্রায় লতিফাকে উক্তবাড়ী লিখে দিতে চাপ দিতে থাকে এতে সে রাজি না হলে একাধিকার অমানুষিকভাবে শিরীরিক এবং মানষিক নির্যাতন চালায় স্বামী জাকের হোসেন ও শশুর রুস্তম মৃধা এ নিয়ে লতিফা বাদী হয়ে নারী শিশু ও ভূমি দখলের চেষ্টা সহ একাধিক মামলা করেন মামলা নং ১২৭ /২০১৭ এবং নন জিআর ১৯২/১৯। মামলা করায় স্বামী জাকের ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৮ সালে লতিফাকে ডিপোর্জ দিয়ে অন্য নারীকে ঘরে তুলেন ।

(বুধবার ৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় জাকের ও তার বাবা রুস্তম মৃধা এবং চর উরিয়া গ্রামের কাসেম সদ্দার্র (৫০), বাবুল (৪৫), ভুট্রু মাঝি (৪০), শাহ আলমের পুত্র আল আমিন(২২) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লঅঠিয়াল বাহিনী লতিফার পরিবারকে পিটিয়ে বসতঘর দখল করে নেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী । অভিযুক্তদের হামলায় আহত হন আব্দুল বাসেতের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪০), মাহফুজুল হকের স্ত্রী সফিকা খাতুন(৩৮), জাকেরের কণ্যা বিবি আয়েশা (১১) । এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান গৃহবধূ লতিফা খাতুন।

অভিযুক্ত জাকির হোসেন, বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন,"আমার বাবার কেনা জায়গায় আমরা বসবাস করছি, তারা আমাদের নামে মামলা দিয়েছে, মামলা গুলো এখনো চলমান"। তবে জমি ক্রয়ের কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি জাকের হোসেন ও রুস্তম মৃধা।

এ ব্যাপারে সুবর্ণচর উপজেলার ভূঁইয়ার হাট বাজারের ফাঁড়ি থানার এস আই জয়নাল বলেন, ঘটনাটি সত্য জাকের হোসেন ২০১৮ সালে লতিফাকে তালাক দেয় এ ঘটনায় লতিফা বাদী হয়ে কোর্টে একটি মামলা করেন ঐ মামলায় জাকির হোসেন জেলও খেটেছেন, বর্তমানে কি হয়েছে সেটা আমি জানিনা।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০২১)