স্টাফ রিপোর্টার : টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যাচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই বিভ্রান্তিকর ও দুরভিসন্ধিমূলক ভাষণ অন্তঃসারশূন্য কথামালার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রধানমন্ত্রী দেশের তথাকথিত উন্নয়ন, মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, স্বাস্থ্যখাতের ইতিবাচক পরিবর্তন, আইনের শাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানসহ যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা ‘মিথ্যাচারের কালো দলিল’। দেশবাসী তার এই ভাষণ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণ, খুন, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, টাকা পাচার, দুর্নীতি-লুণ্ঠন ও দুর্বৃত্তায়ন, দুঃশাসনের একযুগ পার করলো বাংলাদেশ। বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে ক্ষমতাসীন দুষ্টচক্র মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য-মানবাধিকার-ন্যায়বিচারকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে জনগণকে বোকা বানাতে তথাকথিত উন্নয়নের স্লোগান তুলেছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখনো যারা গণতন্ত্র হরণ করে, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কথিত উন্নয়নের একযুগ পূর্তি করতে চান, তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, সেদিন আর বেশি দূরে নয়, স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের মতো তাদেরও পতন হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’

রিজভী বলেন, ‘করোনা টিকা নিয়েও আওয়ামী সরকারের মাস্টারপ্ল্যান জনগণের কাছে পানির মতো পরিস্কার। গতকালও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা বলেছেন, করোনা টিকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। ভারতই নাকি টিকা রফতানী করবে। কিন্তু গতকালই ভারতীয় হাইকমিশনার বলেছেন, বাংলাদেশে কবে টিকা আসবে তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তাহলে কী দাঁড়ালো? টিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের স্বনির্মিত মিথ্যাচারই প্রমাণিত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, এখন চলছে বাংলাদেশের মহান বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীর ক্ষণ গণনা। লাখো প্রাণের বিনিময়ে, অসংখ্য মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু দুর্ভাগ্য, দেশপ্রেমিক জনগণ আজ যেন নিজ দেশে পরাধীন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত নন। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যাচার ও প্রতিহিংসার শিকার।’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০২১)