লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার গরীব দুঃখী নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার। জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী নোয়াখালী জেলার (বর্তমানে লক্ষ্ণীপুর জেলা) চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং গৃহহীন মানুষের গৃহনির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন, তারই নির্দেশে শুরু হয় গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম। 

লক্ষ্ণীপুরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর সুবিধাভোগী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ভাগ্য বদলে যাচ্ছে। তারা স্বপ্ন দেখছে নতুন জীবনের। আর এইসব ভুমিহীন ও গৃহহীনদের পুর্নবাসনের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। তৈরী করা হচ্ছে সরকারী খাস জমির উপর আধা-পাকা ঘর। জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানায় জেলা প্রশাসক।

প্রধানমন্ত্রীর নিদ্দেশনা অনুযায়ী মুজিববর্ষে কেউই গৃহহীন থাকবে না এ লক্ষ্যে জেলায় ক‘ শ্রেনীর ২০৩৬টি পরিবারের জন্য নতুন ঘরের বরাদ্দ দেওয়ায় হয়েছে। সরকারী খাস জমির উপর তৈরী করা হচ্ছে নতুন ঘর। প্রত্যেক পরিবারের জন্য রয়েছে দুই (২) রুমের বসত ঘর। সাথে থাকছে রান্নাঘর, বাথরুম ও সামনে খোলা বারান্দা। যার নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা।

সুবিধা ভোগীরা জানায়, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই ঘর তাদের জীবন-যাত্রা পাল্টে দেবে। শেষ হবে অন্যের দয়ায় বেঁচে থাকার কষ্টের জিবন। তৈরী হওয়া আধা-পাকা ঘর দেখে খুশি সুবিধা ভোগীরা।

ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ক‘ শ্রেনীর লোকজন যাদের জমি নাই, ঘর নাই তারই এই সুবিধা পাবেন। উপজেলায় পর্যায়ে ঘরের কাজ চলমান আছে। নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে গৃহ নির্মাণ করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে, সেই জন্যই সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুম।

ইতিমধ্যে সদর, রামগঞ্জ, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় নির্মাণাধীন ঘরের কাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। জেলায় ২ (দুই) ধাপে ২০৩৬টি পরিবার পেতে যাচ্ছে সরকারের এই বিশেষ সুবিধা। ১ম পর্যায়ে ৩১০ পরিবার ও ২য় পর্যায়ে ১৭২৬ পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরপরই ১ম ধাপের ৩১০ পরিবারকে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিতে প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২১)