পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাতে সামাজিক বনায়নের গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করে ১৫ দিনেও সুফল পাচ্ছেনা সুবিধাভোগী সদস্যরা।

অভিযোগকারীর বক্তব্য, বাউফল উপজেলার কালীশুরী বন্দর থেকে বাহিরচর সড়কের পাশে রয়েছে সামজিক বনায়ন প্রকল্প। ওই বনায়ন মধ্যে কলেজ চৌরাস্তায় শোভাবর্ধনকারী একটি ইউক্যালিপ্টাস ও একটি আকাশমনি গাছ গতবছরের ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালামসহ ৭/৮ জনে কেটে ফেলে। গাছ স্থানীয় পরিবাহনে করে ট্রলারে ভরার মুহূর্তে দেখে ফেলে প্রকল্পের উপকারভোগী সদস্যরা।

খবর পেয়ে উপকারীভোগী সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল মাস্টার এসে গাছ নিতে বাধা দেয়। এ সময় বন কর্মকর্তা আবুল কালাম ট্রলার চালিয়ে নদীর উত্তরে চলে যায়। স্থানীয় আ’লীগ নেতা ইয়াকুব তালুকদার এসে পরিবাহনে থাকা গাছের অংশ মসজিদের মাঠে নামিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ বাদে বন কর্মকর্তা আবুল কালাম এসে গাছ নিতে বাধাদানকারীদের নামে মামলা দেয়াসহ মেরে পঙ্গুকরে দেয়ার হুমকি দেয়। ঘটনাস্থলের অদূরে চাঁদকাঠী গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান বন কর্মকর্তা আবুল কালাম এক সময় বিএনপি’র সাবেক এমপি’র সহচর ও দেহরক্ষী ছিলো বলেও মি. জলিল জানান।

বিএনপি’র ক্ষমতা সময় থেকে মি. কালামের সাথে বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী, চোরাকারবারী ও দুষ্টলোকের সখ্যতা রয়েছে বলেও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পটায়াখালী রেঞ্জ বরাবরে ২৯ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ করে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সদস্যদের সভাপতি মোঃ আব্দুল জলিল।

অভিযোগের বিষয়ে বাউফল বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম বলেন, অভিযোগকারী মরহুম সুজাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল জলিল মাস্টার পারিবারিক রোষ মেটানোর জন্য মিথ্যে অভিযোগ করেছে।

(এনসি/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০২১)