জালিয়াঘাটা কাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটা জালিয়াঘাটা কাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় একজন করে লাইব্রেরিয়ান, আয়া ও নৌশ প্রহরী পদে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ওই নিয়োগ পরীক্ষা দুইবার পিছিয়ে ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার সুপার আমিরুল ইসলাম ও সভাপতি কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাথরঘাটার ইউএনও'র কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।
চাকরি প্রার্থীরা বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার জালিয়াঘাটা কাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় একজন করে লাইব্রেরিয়ান, আয়া ও নৌশ প্রহরী পদে নিয়োগ দিতে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দুইবার নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষা দুইবারই স্থগিত করা হয়।
সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি পরীক্ষা স্থগিত করা হলে বরগুনা থেকে বাড়িতে এসে স্থানীয়ভাবে জানতে পারি আয়া ও নৌশ প্রহরী পদে ৫ লাখ টাকা করে এবং লাইব্রেরীয়ান পদে ৭ লাখ করে মোট ১৭ লাখ টাকায় তিন প্রার্থী বাছাই চলছে। তবে আয়া ও নৌশ প্রহরী পদে ১০ লাখ টাকা প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও লাইব্রেরিয়ান পদে ৭ লাখ টাকায় প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়া হয় ওই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জালিয়াঘাটা কাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসা সভাপতি কাজী নজরুল ইসলামের পরামর্শে সুপার আমিরুল ইসলাম এ নিয়োগ-বাণিজ্য করছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জালিয়াঘাটা কাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার নিয়োগ হয়নি, সেখানে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সত্য নয়। তবে আমি অসুস্থ থাকায় পরীক্ষার তারিখ স্থগিত করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানা বলেন, ওই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(এটি/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২১)