রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কলারোয়ার দেয়াড়া মাঠপাড়া গ্রামের কৃষক আমজেদ গাজী হত্যার ঘটনায় থানায় উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন পরিকল্পিতভাবে দু’ আসামির নাম বাদ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে একটি এজাহারে সই করে নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সস্মেলনে অভিযোগ করেন নিহতের ছেলে সুমন হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে সুমন হোসেন বলেন, গত ১২ জানুয়ারি তার বাবা আমজেদ গাজী মামলাভূক্ত জমিতে চাষ করার জন্য গেলে চাচা আনসার গাজী ও তার লোকজন বাধা দেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আনসার ও তার লোকজন বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাবাকে রক্ষা করতে গেলে তাদের আরো চারজন আহত হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় এজাহারজ দিতে গেলে উপপরিদর্শক সোহরাব তাকে থানায় তিন/চার ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। পরে সোহরাব হোসেনের কম্পিউটরকৃত একটি এজাহারে জোরপূর্বক সাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। ওই এজাহারে হত্যার সঙ্গে যুক্ত আলমগীর হোসেন ও লতিফ দফাদারের নাম না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলে সোহরাব হোসেন রাগন্বিত হয়ে তাকেও মামলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি ৯৯৯ এ রিং করে জানালে পরদিন সোহরাব হোসেন তাকে থানায় ডেকে বলেন ‘বেশী বাড়াবাড়ি করলে সবকটাকে একসাথে ঝুলিয়ে দেবো। কারণ তোদের স্থানীয় নেতাগোতা, ওসি ও এসপির নির্দেশেই সব করেছি’ ।

সুমন হোসেন বলেন, বাদ যাওয়া আসামীদের নাম সম্পৃক্ত করে সম্পুরক এজাহার দাখিলের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যৗমে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লাভলু গাজী, শফিকুল ইসলাম, সোহেল রানা, ইকরাম হোসেন, জনাব আলী, সাত্তার গাজী, নূরজাহান, হালিমা, হাসিনা, ফাতেমা ও আক্তার হোসেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন জানান, ঘটনার বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এজাহারটি লেখা হয়েছে। এটি একটি হত্যাকান্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করার ঘটনা সত্য নয়। তবে আমজেদ গাজীর ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আনসার গাজী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২১)