স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সরকারের জনপ্রিয়তা নেই বলে তারা ভোটার, রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ভয় পায়। তারা জানে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা মোটেও জিততে পারবে না। এটা আমাদের কথা না। তাদের নেতারাই বলছেন। পালানোর জায়গা পাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। এটাই বাস্তবতা। এজন্যই তারা জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয় না।’

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোটের শরীক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী ও মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খানের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনেক আশা নিয়ে ত্যাগ স্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এ বছর আমরা সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। অথচ মুক্তিযুদ্ধের যে সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্র আজ নেই। কারণ গণতন্ত্রের বাহন হলো নির্বাচন। নির্বাচন যদি সঠিক না হয়, তাহলে গণতন্ত্র থাকে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জানি একবার হলো প্রার্থীহীন নির্বাচন। যেখানে তিনশর মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রার্থী ছিল না। আর একবার হলো আগের রাতে নির্বাচন। কেন এটা হলো? কেন একটা রাজনৈতিক দল জেতার জন্য কোনো বিশেষ বাহিনীর ওপর নির্ভর করে? কিংবা অন্যদেরকে প্রার্থী হতে দেয় না? কিংবা ভোটার যাতে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে না পারে তার চেষ্টা করে? কারণ, তারা জানে জনগণ ভোট দিলে তারা মোটেই জিততে পারবে না।’

নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন- জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমেদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২১)