রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা কমেছে ১০দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। গত ৩দিন ধরে সুর্যের মুখ দেখা যায়নি। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে গেছে। 

এতে করে গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীত কষ্টে ভুগছে জেলার প্রায় ২শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষসহ দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বয়বৃদ্ধরা। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সময়মত কাজে বের হতে পারছে না অনেক শ্রমিক। কমে গেছে তাদের আয় রোজগারও। ঠান্ডার বস্ত্র পরিধান করেও গরম অনুভ’ত না হওয়ায় কেউ কেউ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। ফলে অধিক ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে-এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা, ধরলা ব্রক্ষপুত্র, দুধকুমরসহ প্রায় ২শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ এবং দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষেরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। শুধু মানুষ নয়, গবাদী পশু-পাখি ও প্রাণিরাও শীতে কাহিল হয়ে পড়ছে। তাই অনেকে ঠান্ড নিবারণের জন্য গবাদি পশুর গাঁয়ে তুলে দিয়েছে চটের বস্তা এবং পুরাতন কাপড়।

শনিবার দুপুরে জেলার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেই ইনডোরের পাশাপাশি আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে ২শতাধিক শ্বাসকষ্ট জনিত রোগী।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানায়, ১৬জানুয়ারী শনিবার জেলার সর্বনিম্স তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ডিগ্রী সেলসিয়াস। আরও কমপক্ষে ৩দিন তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

(পিএস/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০২১)