রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাবার স্টাম্প উল্লেখ করে রিজভী বলেছেন, অবৈধ ফলাফলকে বৈধতা দেবার জন্য সিল মোহর হিসেবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ভোটের তফশীল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় দিনের ভোট রাতে নেয়ার জন্য। নির্বাচন কমিশনের কেউ কেউ এর আগে সরকারি জালিয়াতির বিরুদ্ধে কথা বলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা মূমুর্ষ অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা তার মনের মতো লোক নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।

পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশ ব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস ও পুলিশি তান্ডবের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১১টায় বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, একটি নির্বাচন হয় ঠিকই, তফশিল হয় ঠিকই, কিন্তু কে জিতবেন তা নির্ধারণ হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে। সেখান থেকে যে তালিকা হয় সেই তালিকাকে এম নুরুল হুদা প্রকাশ করেন। এখানে সুষ্ঠু ভোট ও জনগণ ভোট দিয়ে তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন সেই পরিস্থিতি এখন বাংলাদেশ থেকে নিরুদ্দেশ।

রিজভী আরো বলেন, (১৬ জানুয়ারি) শনিবার দ্বিতীয় দফা অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের অধিকাংশ পৌরসভায় সরকারী দল ও প্রশাসন এক হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানী ও মিথ্যা মামলা দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের পক্ষের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের কোথাও দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। উদ্বেগ জনক তথ্য হলো কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ার চর পৌরসভার সকল কেন্দ্র দুপুর ১২টার মধ্যে দখল করে নিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এই হলো বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থা।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, শফিকুল ইসলাম বেবু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ প্রমূখ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০২১)