নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী  হামলায় ২ নারীসহ আহত হয়েছে ৫জন। ঘটনার সময় এক নারীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ উঠে। আহতরা বর্তমানে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন। ৫ জন ছাড়াও এ ঘটনায় আরো আহত হয় আরো ৩ জন তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফেরেন। 

ঘটনাটি ঘটে ১৬ জানুয়ারী (শনিবার) সকাল ১০ টায় নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ৪ নং চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর বৈশাখী গ্রামে।

সরজমিন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানাযায়, চর বৈশাখী গ্রামের মৃত মোস্তফার পুত্র কামাল (৪৮) দির্ঘদিন ধরে একই গ্রামের বাসিন্ধা প্রতিবেশী মৃত খুরশীদ আলমের পুত্র জমির উদ্দিন (৪৫) এর জায়গা জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ঘটনারদিন কামাল উদ্দিন কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতেই ড্রেজার মেশিন এনে সকালে জমির উদ্দিনের মালিকানাধিন জায়গায় মেশিন লাগিয়ে বাড়ীর রাস্তা তৈরী করতে থাকে। এতে জমির উদ্দিন প্রতিবাদ করলে কামাল ও তার ছেলে রুবেল(২৫), জাহাঙ্গীর (৩৫), মহি উদ্দিন(২৮), সালেহ উদ্দিন এবং পূর্বপরিকল্পা অনুযায়ী প্রতিপক্ষে মারধর করতে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র ইউছুপ (৩৫), আব্দুস সালামের পুত্র মুরাদ(৪০), শাহ আলমের পুত্র ইব্রাহিম(৪০)সহ অজ্ঞাত কয়েকজন সন্ত্রাসী জমির উদ্দিনকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে খবর পেয়ে জমির উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম(৩৫), ও মেয়ে রিনা আক্তার (২৫) কে ও পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ করেন।

নারীদেরকে মারধর করতে দেখে তাদের উদ্ধার করতে একই এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তাদের মধ্যে বেলাল, জলিল, হেলাল, হাশিমকেও মারধর করে তারা পরে তারা এলাকাবাসী আহত সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করে।

আহত নারী রিনা আক্তার বলেন, "অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে তুলে নিয়ে পাশের একটি বাগানে নিয়ে তাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে, এলাকাবাসী সময় মতো না এলে তারা আমাকে ধর্ষণ করতো''।

এলাকাবাসী বলেন,"কামাল উদ্দিন দির্ঘদিন তার ছেলেদের নিয়ে জমির উদ্দিনের জায়গাজমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, কামাল তার সব ছেলে এবং পাশের এলাকা থেকে ধষর্ণ মামলার আসামিসহ ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী এনে তাদের ওপর এই হামলা করে"।

অভিযুক্ত মুরাদ বলেন, কামাল কাউকে না জানিয়ে ড্রেজার মেশিন এনেছে এটা কামালের অন্যায় হয়েছে সে আমাদরে সমাজের কাউকে জানাইনি”। অভিযুক্ত কামালকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এব্যপারে চরজব্বার থানার তদন্ত(ওসি) কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন," এ ব্যপারে আমি জানি তবে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে"।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০২১)