ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : অল্প বয়সেই জয় করে নিলেন সবার মন, এক সময়ের ত্যাগী  ছাত্র নেতা বর্তমান সুবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ৮নং মোহাম্মদপুর  ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে পূনরায় নৌকা প্রতীক নিয়ে পূনরায় চেয়ারম্যান পদে ভোট করার আশা ব্যাক্ত করেন। তার বিগত দিনের উন্নয়ন মূলক কাজে খুশি জনসাধারণ। সুবর্ণচরের  ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে দূর্নীতি, মদক মুক্ত করনে তার অবদান ছিলো প্রশংসনীয়। 

সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এনামুল হক মৃত্যু বরণ করলে এইপদটি শূণ্য হয়, পরে উপ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করেন আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাততে শক্তিশালী ও নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদসদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর উন্নয়নকে আরো বেগবান করতে দিনরাত খেটেছেন চলেছেন তিনি।

মুজিব আদর্শের সৈনিক, স্পস্ট রাজনিতীবিদ আবুল কালাম আজাদ ২০০৮ সালে সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্র লীগের সদস্য নির্বাচিত হন। সেই থেকে দির্ঘ ৪ বছর দলকে সংগঠিত করতে পরিশ্রম করে করেছেন। ২০১২ সালে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হলে তিনি যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হলে তিনি যুগ্নআহবায়ক নির্বাচিত হন।

আসন্ন মার্চ ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীক নিয়ে ভোট করবেন বলে আশা ব্যাক্ত করেন তিনি। এলাকাবাসীর দাবি দলীয় সিদ্ধান্তে নৌকা প্রতিক দিলে আবুল কালাম আজাদ বর্তমানের মত উন্নয়নে অনবধ্য ভূমিকা রাখবেন। শান্তি, শৃঙ্খলা পিরে আসবে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে । এদিকে করোনা কালে নিজের জীবন বাজী রেখে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাবার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ সহ নানা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে তিনি কাজ করছেন সমান তালে। মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে চলছে আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে আলোচনা, সাধারণ মানুষ বলছেন, বর্তমান সময়ে যুবকরা এগিয়ে এলে সুন্দর সমাজ গঠন করা সম্ভব।

এক সাক্ষাতকারে আজাদ বলেন "নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর উন্নয়নের সহযোগী হয়ে কাজ করতে চাই এবং তারণ্যের অহংকার সাবাব চৌধুরীর নেতৃত্বে সুবর্ণচর উপজেলা যুবলীগকে একটি জনবান্ধব দলে রুপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি আমি যদি চেয়ারম্যান হই, উন্নয়নের অসমাপ্তকাজ সুন্দর ভাবে সমাধান করতে পারবো । মানুষের সেবা এবং মাদক সন্ত্রাস বন্ধ করে ছাত্র এবং যুব সমাজকে সাথে নিয়ে এলাকার সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাঁসি ফোটাতে কাজ করবো সেই সাথে সাবেক চেয়্রম্যান মরহুম এডভোকেট এনামুল হকের গড়া সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ তার অসমাপ্তকাজ আমি সম্পন্ন করবো ইনশাল্লাহ্"।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন, একজন স্বচ্ছ এবং পরিশ্রমী রাজনিতীবিদ জনপ্রতিনিধি হলে সমাজে অপরাধ কমে যাবে অনেকাংশে। এদিকে সুবর্ণচর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে এখনই শুরু হয়ে গেছে ভোটের হাওয়া। যে যার দলের প্রার্থীদের নিয়ে করছে আলোচনা। মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন ইউনিয়নবাসীও চান আগামী নেতৃত্বে নতুনত্ব থাকুক, তাহলেই হয়তো মানুষের আশা আকাংখা পূরণ হবে।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০২১)