আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব ছাড়ার দুই সপ্তাহ হতে না হতেই সুদানে আবারও শুরু হয়েছে জাতিগত সহিংসতা। এতে এপর্যন্ত প্রায় দেড়শ’ জন হতাহত হয়েছেন। রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সুনা এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় চিকিৎসক ইউনিয়নের বরাতে সংস্থাটি জানিয়েছে, পশ্চিম দারফুরের রাজধানী আল জেনেইনায় শুরু হওয়া সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ জন। এতে আরও ৯৭ জন আহত হয়েছেন। সহিংসতা এখনও চলছে।

জানা গেছে, রাজ্যটিতে স্থানীয় সময় শনিবার সকালে মাসালিত এবং আরব্য যাযাবর গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার জেরে শুরু হওয়া সেই সহিংসতা ধীরে ধীরে ব্যাপক আকার ধারণ করে। এতে যোগ দেয় সশস্ত্র মিলিশিয়ারাও। সহিংসতার মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

সুদানের প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লা হামদক এক টুইটে জানিয়েছেন, তিনি ঘটনা তদন্তে পশ্চিম দারফুরে একটি উচ্চক্ষমতার প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ অঞ্চলে ২০০৩ সালে শুরু হওয়া সহিংসতায় অন্তত তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ লাখেরও বেশি।

২০১৯ সালে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে টানা ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকা ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সুদানের প্রেসিডেন্ট হন হামদক। এরপর থেকেই ব্যাপক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

টানা ১৩ বছর সুদানে জাতিগত সহিংসতা রোধে দায়িত্বপালনের পর গত ৩১ ডিসেম্বর নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে দারফুরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন। পরের ছয় মাসের মধ্যেই সেখানকার আট হাজার কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। আল জাজিরা, বিবিসি।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০২১)