আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : দেশ ও জনগণের মঙ্গলের জন্য সর্বদা সোচ্চার ও অঙ্গিকার ভুক্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে এগিয়ে চলছেন গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি-এমপির পরিচালনায় শুধু পলাশবাড়ী বা গাইবান্ধায় নয় সারাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা অতিত সময়ে চাইতে অনেক বেশী রাজনৈতিক ভাবে উজ্জীবিত ও সোচ্চার সাংগঠনিক ভাবে। একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে অধিক গতিশীল সংগঠন কৃষক ও কৃষির সফলতায় ও সম্ভবণায় সর্বদা মাঠে কৃষকের সাথে সরকারের পাশাপাশি কৃষককের পাশের রয়েছে বাংলাদেশ কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ কৃষকলীগ ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল ততকালিন রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ কৃষকলীগ রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বারা গঠিত জাতীয় সরকার বাকশালে যোগদান করেছিল। এ সংগঠনটি ইতিহাস পাতায় ঐতিহ্য কৃষক সংগঠন হিসাবে দাড় হয়েছে। কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে সাংগঠনিকতা বজায় করতে তারা অধিক উজ্জিবিত কৃষকের কৃষানীরাও পিছিয়ে নেই বঙ্গবন্ধুর বাংলায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সরকারের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসাবে পরিচালিত করতে দেশের কৃষির উন্নয়নে যুগ উপযোগী চাষ পদ্ধতি আবিস্কার করে দেশে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করার মধ্যদিয়ে কৃষক কৃষানির উন্নয়নের মধ্য দিয়ে তৃণমুলের জনপদের জন্য গ্রামে শহরের আদলে গড়ে তুলছেন। যাতে করে গ্রামীন জনপদের মানুষ গ্রামে বসবাস করে নাগরিক সুবিধা গ্রহন করে নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদা বৃদ্ধি হয়।

বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের নেতৃত্বে ও স্মৃতি এমপির পরিচালনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সার্বিক সহযোগীতায় কৃষকলীগের কাংখিত সাংগঠনিক শক্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষে জোড়ালো ভাবে গোটা দেশ চষিয়ে বেড়াচ্ছেন। দেশের আনাচে কানাচে কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা আজ অনেক অনেক ভাবে উজ্জীবিত। কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে তারাও ভূমিকা পালন করে চলছেন । দেশ জুড়ে তারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে বৃক্ষ রোপন, কৃষি সমাবেশ, রক্তদান, কৃষকদের আনন্দ র‌্যালী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের স্মরণে শোক সভা পরিচালনা করেছেন সফল ভাবে। এসকল কর্মসূচী পালনের পাশাপাশি সাংগঠনিক অন্যান্য কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে নাগরিকদের প্রাপ্ত সেবা কর্মসূচী বিষয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরে চলছেন। কৃষির উন্নয়নে সরকারের বর্তমান পদক্ষেপ গুলো তুলে ধরছেন । এতে করে কৃষক কৃষানী প্রানের বন্ধন হিসাবে যুগের পর যুগ আলোকিত হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষকলীগ ।

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কৃষকলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন, বিগত সময়ে তৃণমুলের কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের মুল্যায়ণ করা হতো না বর্তমান সময়ে শুধু জেলা বা বিভাগ গুলো নয় তৃণমুলের ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কমিটি গুলোর নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণ করা হয়। তাদের বিষয়ে খোজ খবর রাখেন সমীর চন্দ্র ও এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির নেতৃত্বে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি নেতৃবৃন্দ ।

আর এই সাংগঠনিক নানা মুখি কার্যক্রম বাস্তবায়নে পুরুষের পাশাপাশি একজন নারী হিসাবে সফলতার সহিত নিজের সাংগঠনিক ও সংসদীয় দায়িত্বপালন করে চলছেন বিশিষ্ট আইনজীবি উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। এছাড়াও তিনি তার পরিবারে স্বামী বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মাহবুব রহমানের নিকট প্রিয় সহর্ধমীনি,সন্তানের কলিজ্বাসম মা, ভাই ও বোনদের প্রিয় বোন, আত্মীয় স্বজনদের নিকট প্রিয় স্মৃতি। এর বাহিরে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের মন জয় করে এগিয়ে যাওয়া মানুষটি এসকল ব্যস্ততা সব সময় চালিয়ে যাচ্ছেন স্মৃতি আপা । একটি মোবাইলে সারাদেশ হতে নানা বিষয়ে নেতাকর্মীদের নানা বিষয়ের আলোচনা শুনতে হয় তাদের সাথে প্রতি মহুর্তে কথা বলছেন অনার্গল নেত্রী স্মৃতি এমপি। এর মধ্যেই আবার উপরোক্ত বিষয় গুলো তার নিত্য দিনের রোটিন হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতকার্মীদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ সাংগঠনিক নেত্রী স্মৃতি। একজন নারী সে এতো কিছু সামলে নেন কিভাবে ভাবতে গা শিউরে উঠে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের দায়িত্ব দেন তারা আসলে সকলে দায়িত্বশীল ব্যক্তি বিধায় এসকল দায়িত্ব পাওয়ার অধিকার রাখে । সে কারণেই তাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়, যা আজ প্রমানিত।

এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি এ সকল ব্যস্ততার মাঝে চলতে চলতে একটানা পরিবহন যাত্রায় পর মানসিক চাঞ্চলতা খাকলেও তবে শাররিক ভাবে হাফিয়ে উঠেছেন এবং অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তিনি করোনায় আক্রান্ত নন। করোনা পরীক্ষায় তার নেগিটিভ এসেছে। এ কারণে তিনি যে করোনা আক্রান্ত নন তা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। অধিক পরিশ্রমের ফলে মৌসুমী জ্বরে ভোগেছেন কয়েকদিন বর্তমানে তিনি স্বাভাবিক সুস্থ্য থাকলেও চিকিৎসকরে পরামর্শে নিয়ে চলাচল করছেন । মোবাইলে যোগাযোগ সীমিত করেছেন । অপ্রয়োজনীয় কাজ ও কথা বার্তা হতে নিজেকে সংযত করে রাখা চেষ্টা করা পাশাশি সর্বপরি তার যাবতীয় কর্মকান্ডের পর একটু শাররিক বিশ্রাম করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। তাহার বিদ্যুগতি সম্পন্ন মানুসিকতা ও দায়িত্ব শীলতার প্রতি হতভম্ব চিকিৎসকগণ। প্রিয় নেত্রীর সুস্থ্য ও দীর্ঘ আয়ূ কামনা করেছেন সারাদেশের কৃষকলীগের নেকাকর্মীরা ও পলাশবাড়ী সাদুল্যাপুরের সর্বস্তরে মানুষ।

যে পারবে তাকেই সেখানে দিতে হবে সে মানুষ ছেলে না মেয়ে তা দেখলে হবে না শান্তির জন্য নারীর অর্ধেক অবদান তা স্বীকৃতি যেমন ইসলাম ধর্মের দিকে দেখে তেমনি রাষ্ট্রীয় ভাবে দেওয়া হচ্ছে। বাংলার কৃষক কৃষানির উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কৃষকলীগ নিজেদের রাজনৈতিক নক্ষত্র হিসাবে দেশ ও বিশ্বের কাছে পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

(এ/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২১)