স্টাফ রিপোর্টার : মাদক আইনে করা মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা, সার্জেন্ট জহিরুল ইসলাম ও চালক হুমায়ুন কবির। তাদের সাক্ষ্য শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী জেরা করেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের সময় খালেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন তিনি।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার বিরুদ্ধে দেয়া মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মামলার বদলির আদেশ দেন। একই সঙ্গে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বদলির আদেশ দেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে র‍্যাব।

উল্লেখ্য, রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ‘ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান ও ৫৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরদিন দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। একই দিন র‍্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। অন্যদিকে মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন র‍্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্রু মার্মা। ২০ সেপ্টেম্বর খালেদ মাহমুদকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২১)