চিতলমারী (বাগেহাট) প্রতিনিধি : বাগেহাটের চিতলমারীর চরবানিয়ারী ইউনিয়নের শ্যামপাড়ায় রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতের আধারে এক বিএনপি নেতা কর্তৃক হিন্দু পরিবারের জায়গা দখলের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাধা দিতে গেলে ওই হিন্দু পরিবারের ৪ নারীসহ ৭ জনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়া তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর শুনে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দখলবাজরা পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চিতলমারী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের শ্যামপাড়া মৌজার বিধান গাইনের কাছ থেকে কয়েক মাস আগে একই গ্রামের বিএনপি নেতা জিন্নাত আলী মীর জায়গা ক্রয় করে। এই জায়গা ক্রয়ের সূত্র ধরে জিন্নাত আলী মীর বিধান গাইনের অন্য শরীকদের ৪১৪ ও ৪১৫ নং দাগের জায়গায় রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত আট দিকে জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মান করে আসে। এ সময় তাদের বাধা দিলে জিন্নাত আলী মীরের নেতৃত্বে ২৫/৩০ হামলা চালায়। হামলায় সত্যজিৎ রানা (৫৫), বাসন্তী রানা (৫০), মৃন্ময় রানা (২৭), দ্বিজেন্দ্রলাল গাইন (৫৬), ববিতা গাইন (৪৫), আলোমতি গাইন (৪৬), প্রমিলা গাইন (৪০) আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হামলার শিকার দ্বিজেন্দ্রলাল গাইন জানান, আমাদের এক প্রতিবেশী শরীকের জায়গা ক্রয় করে জিন্নাত আলী মীর আমাদের বাপ-দাদার একশ বছর পূর্বের ভোগ-দখলী জমি জোর পূর্বক দখল করছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে আমি ও আমার বড় ভাই সরোজ গাইন গত ৭ জানুয়ারি বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। তাছাড়াও দখলের বিষয়টি মৌখিক ভাবে চিতলমারী থানা পুলিশ, উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা বড়াল, আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খান সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায়সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে অবহিত করেছি।

হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জিন্নাত আলী মীর বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমির উপর আমি দোকান ঘর নির্মান করতে গেলে প্রতিপক্ষের দ্বিজেন গাইন আমাদের বাঁধা দেয়। আমরা কোন হামলার ঘটনা ঘটায় নি।

এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, রাতের আধারে ঘর তৈরি জায়গা দলখের বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘনটাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(কেজি/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২১)