রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিবাদমান সমস্যা নিরসনে এক পক্ষের নিকট উৎকোচ নিয়ে পক্ষপাতমূলক তদন্ত করার অভিযোগে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগী ও এলাকবাসীরা। তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিবেদন বাতিল করে পূণঃপ্রতিবেদন ও ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিচার ও অপসারণ দাবি করেছেন। 

অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার হলোখানা নুরনবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন মোছাঃ কাকলী বেগম। গত ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ভূক্তভোগী কাকলী বেগম ও দাতা সদস্য দছিম উদ্দিন জানান, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আমাদের কাছ থেকে নিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ৬লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শিক্ষা বিভাগে আমরা অভিযোগ করি। সেই প্রেক্ষিতে তদন্তের দায়িত্ব পান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক। কিন্তু তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নুরনবীর কাছে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে একপেশে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

এরই প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগীরা ঘন্টাখানিক মানববন্ধন করে। এসময় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য দছিম উদ্দিন, ভুক্তভোগী কাকলী বেগম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে ১৮জানুয়ারী সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক মুঠোফোনে বলেন, দুই পক্ষের কাগজপত্রের সত্যতা দেখে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। উৎকোচের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

(পিএস/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২১)