নওগাঁ প্রতিনিধি : মঙ্গলবার সকালে নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস নওগাঁর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। গত কয়েকদিন আগে এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। 

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ফেরদৌস মাহমুদ জানান, সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের আবহাওয়ার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সকালে ও রাতে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা। এর সাথে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। দেশে ২ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে অতি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ’।

বদলগাছী ছাড়াও নওগাঁ সদর, মহাদেবপুরসহ জেলার ১১উপজেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েক দিন ধরে কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে।

একাধিক কৃষক জানান, ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা বিবর্ণ রঙ ধারণ করছে। দূর্বল হয়ে পড়ছে ধানের চারা। এছাড়া কনকনে শীতে বোরো রোপণ করতে পারছেন না কৃষক। পাকা সরিষা গাছ তুলে এনে রাখলেও রোদ না থাকায় তা শুকাচ্ছেনা।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশায় যাতে বীজতলার ক্ষতি না হয় সেজন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ ব্লকের চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া রোপন করা বোরো ক্ষেতের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ও তদারকি করছেন।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের টেলি প্রিন্টার অপারেটর রিপন আহম্মেদ জানান, গত তিন দিন থেকেই এমন আবহাওয়া বইছে জেলাজুড়ে। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। এ মাসের শেষ দিকে আরও একবার শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।

(বিএস/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০২১)