সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপা  উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের কুদ্দুস আকনের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাড়াটিয়া বাসায় চলছে তাদের বসবাস।

জানা যায়, গোলখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মৃত: এছাহাক আকনের ছেলে কুদ্দুস আকন (৫৫)। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। কুদ্দুস আকন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নারিকেল গাছ পরিস্কার করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মাঝে মাঝে নারিকেল গাছ পরিস্কার করিতে না পারিলে হরিদেবপুর মাছ বাজার পরিস্কার করে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাত পেতে কিছু টাকা নিয়ে বাজার করে কোন রকমে সংসার চালান।

কুদ্দুস আকন জানান, আমার জন্মের পরে বাবা মারা যান বাবার মৃত্যুর পরে মা ও স্ত্রী,সন্তান নিয়ে কোন রকম সংসার করে বেচে আছি। আমার নেই কোন জায়গা জমি, নেই কোন ঘর, মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নারিকেল গাছ পরিস্কার করে সারাদিনে যা পাই তা দিয়ে কোন রকম সংসার চালাচ্ছি। যে দিন নারিকেল গাছ পরিস্কার করতে না পারি সে দিন মাছ বাজার পরিস্কার করে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা হাত পেতে বাজার করে বাড়ি যাই।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গরীবদের নাকি ঘর দেয়। যদি আমি একটি ঘর পেতাম তাহলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম।

কুদ্দুস আকনের স্ত্রী সুমি বেগম(৪০) জানান, আমার স্বামীর রোজগারে আমাদের ৪টি জীবন চলে। থাকি ভাড়া বাসায়, খুব কষ্টে। কুদ্দুস আকনের মা রাহেলা বেগম(৯০) জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে আমার ছেলে কুদ্দুসের সংসারেই পরে আছি। আমার ছেলেটাকে যদি সরকারীভাবে একটি ঘর দিত তাহলে আমরা সরকারের কাছে চির ঋণী থাকতাম।

এ বিষয়ে হরিদেবপুর মাছ ব্যবসায়ী রফিক, আক্কেল ও শহিদুল বলেন, আসলেই কুদ্দুস আকনের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তাদেরকে একটি ঘর দিলে পরিবারটির অনেক উপকার হত।

গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খালেক মাস্টার বলেন, কুদ্দুস আকনের কোন জমাজমি নেই আসলেই সরকারীভাবে ঘরের দাবিদার তারা।

গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, কুদ্দুস আকনের পরিবার আসলেই অসহায় নারিকেলগাছ পরিস্কার করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সরকারিভাবে কুদ্দুস আকনের পরিবার একটি ঘর পেলে তারা সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।

(এসডি/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০২১)