রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : পৌর নির্বাচন চলার মুহূর্তে গরীব অসহায় দুঃস্থ সাধারণ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণের লক্ষে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌরসভাকে ৪৮৮ টি শীত বস্ত্র (কম্বল) বরাদ্দ দেন জেলা প্রশাসক। 

সে বরাদ্দের শীত বস্ত্র গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শীত বস্ত্র গুলো বুঝে নিয়ে পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের দাপÍরিক কার্যালয়ে রেখে দেন। পরে আবার সেই শীত বস্ত্র বিতরণে বাধা দিয়ে ঐ দিন সন্ধায় শীত বস্ত্রগুলো রাখা পৌর মেয়রের দাপ্তরিক কার্যালয়টি সিলগালা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতম সাহা।

শীত বস্ত্র বিতরণে বাধা এবং মেয়রের দাপ্তরিক কার্যালয় সিলগালা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্ঠি হয়েছে পৌরবাসীর মধ্যে। এদিকে জেলা প্রশাসন বিতরণের জন্য শীতবস্ত্র বরাদ্দ দিয়ে আবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মেয়রের শীত বস্ত্র বিতরণ ও তার কক্ষ সিলগালা করে দেওয়ায় মেয়রের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে দাবী করে সাংবাদিকদের নিকট চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার সমর্থকরা।

পৌরসভার প্রধান সহকারী ডালিম গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে জানান, জেলা ত্রাণ শাখা থেকে বারবার অবগত করার পর গত বৃহস্পতিবার সকালে গাড়ী পাঠিয়ে শীতবস্ত্রগুলো নিয়ে মেয়রের কক্ষে রাখা হয়। পরে প্রশাসন এসে শীতবস্ত্র বিতরণ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়ে মেয়রের কার্যালয়টি সিলগালা করে দেন উপজেলা প্রশাসনের র্নিাবহী ম্যাজিস্ট্রেট।

শীত বস্ত্র বিতরণে বাধা ও মেয়রের কক্ষ সিলগালা করা প্রসঙে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতম সাহা সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে দায়িত্বরত মেয়র চলমান পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এ মুহূর্তে তিনি শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। তাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণ বন্ধ থাকবে এবং মেয়রের দাপ্তরিক কক্ষটিও সিলগালা করা থাকবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলমগীর সরকার বলেন, নির্বাচনের সময় সরকারী ভাবে শীব বস্ত্র বিতরণ করা যাবে না মর্মে এসিল্যান্ড আমাকে ফোন করে আমার কক্ষটি শিলগালা করে দিয়েছে। নির্বাচনে শিলগালার বিষয়টি কোন প্রভাব পড়বে কিনা এক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন মূহুর্তে তাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে তেমন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক ড.একেএম কামরুজাম্মান সেলিম গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিকের সাথে কথা বলেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) নুর কতুবুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তাতে সাড়ে দেননি।

প্রসঙ্গত ৪র্থ ধাপের তফশীলে রাণীশংকৈল পৌরসভায় নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে, গত ১৭ জানুয়ারী মোট ১২ জন মেয়র ৩৩ জন কাউন্সিলর ১৩ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। পর ১৯ জানুয়ারী প্রার্থী যাচাই বাছাই সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারী প্রার্থী প্রত্যাহারে শেষ দিন। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারী।

(কেএস/এসপি/জানুয়ারি ২২, ২০২১)