স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দা এই শ্যাম্পু মোল্লা ও  কল্লোল বসু । দুই জন মিলে এই অন্যায় অবৈধ কাজ করে  থাকে এলাকা জনগন এদের ভয়ে কথা বলতে পারে না। এই দুইজনের অন্যায়  অপকর্মে জঙ্গলবাসী আজ খুব অতিষ্ঠ।শ্যাম্পু মোল্লা একজন রাজাকার পরিবারের সন্তান তার বাবা ছিলেন একজন রাজাকার। একাত্তরের সময়ে এলাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। শ্যাম্পু মোল্লার বাড়ী জঙ্গল ইউনিয়নের অলেঙ্কাপুর গ্রামে।

শোনা যায় তিনি নাকি জঙ্গল ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি যার কারনে তার প্রভাব অনেক। তিনি এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে এবং তার রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। শ্যাম্পু মোল্লার আরেক সহচর যিনি ১০ টাকা কেজি রেশন কার্ডের ডিলার। নাম তার কল্লোল বসু। তিনিও এক ভয়ঙ্কর দুর্বৃত্ত তিতি আর শ্যাম্পু মোল্লা মিলে সাধারণ মানুষের ১০ টাকার রেশন কার্ডের চাউল সব গায়েব করে দিয়েছে। এই কল্লোল বসু আর শ্যাম্পু মোল্লা মিলে এলাকার ৭০০ শত রেশন কার্ডের চাউল মেরে দেয়। সাধারণ জনগণ বঞ্চিত হয়েছে এ রেশন থেকে। রাস্তা সংস্কারের নামে এমপির বিশেষ বরাদ্দ করা রাস্তা সংস্কারের কাজ না করেই টাকা তুলে নিয়েছে।

শ্যাম্পু মোল্লা কাজ হলো থানার দালালী করা এবং জনগনের রেশন কার্ডের চাউল মেরে খাওয়া তাদের নিজেস্ব সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রন করা। এই সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান সয়ং কল্লোল বসুর ছোটভাই হিল্লোল বসু, এদের সাথে আছে মাধব, মিলন, সন্দীপ, প্রশান্ত, মামুন এরা আবার নিখিল বসুর ছত্র ছায়ায় থাকে। এদের নামে একাধিক থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কারণ তারা প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় আশ্রীত। এবং কল্লোবসু জঙ্গল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি হওয়ায় এদের দাপট অনেক বেশি।

এমপির বিশেষ বরাদ্দ কৃত টি আর মেড়ে খাওয়া, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টিআর মেড়ে খাওয়া সহ শালিশের নামে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন সরকারী কাজরে ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া সহ নানা অপকর্ম করে থেকে এরা। এমপির বিশেষ বরাদ্দের চারালের দুর্র্গা মন্দির টির আর মেরে খাওয়া, সহ এলাকায় মাদক কারবাড়ীদের নিয়ন্ত্রন করে।এদের কারণে এলাকায় মাদকে সয়লাব। এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের মুলে এরা। তারা দুজন লোক চক্ষুর আড়ালে এ গুলো করে থাকে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই কল্লোল বসু ও শ্যাম্পুর মোল্লা এলাকায় সবসময় প্রভাব বিস্তার করে বেড়ায়। বন্যাতৈল গ্রামের অনুপ কুমার বলেন এরা খুবই অন্যায় অবৈধ কাজ করে বেড়া এদের কাজ হলো মেরে খাওয়া। পটুয়ার বিপ্লব বলেন এরা সাধারণ মানুষের ১০ টাকার রেশন কার্ড সহ সরকারী অনুদান মেড়ে খায়। চারালিয়ার নিশিত বলেন, এদের জালায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। রাসখোলার স্বপন মাষ্টার বলেন এর ধর্মী প্রতিষ্ঠানের টি আর মেড়ে খেতেও দিধাবোধ করে না। মোদ্দা কথা এ এরা দুজন শ্যাম্পু মোল্লা ও কল্লোল বসু জঙ্গল ইউনিয়নের সকল রকম অপকর্মের নায়ক।

এ সম্পকের্ শ্যাম্পু মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সমাধীনগর হাট দখল করে খাওয়া, কার্তনী মন্দির সংস্কারের টি আর কাজ গায়েব করা ইত্যাদি। বর্তমানে জঙ্গল ইউনিয়নের এলাকাবাসী এদের কছে জিম্মি। এদের অন্যায় ও অপকর্মে জঙ্গলবাসী অতিষ্ঠ।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ২৩, ২০২১)