শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকা থেকে শিকার করে আনা ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই চোরা শিকারী ও পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। 

শুক্রবার দিবাগত রাত পোনে ২টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বাস ষ্ট্যান্ডের কাছ থেকে সুন্দরবনের চোরা শিকারী ও বন্যপ্রানী পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য মো. ইলিয়াস হাওলাদার ( ৩৫) ও মো. মনিরুল ইসলাম শেখকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত মনিরের শরণখোলা উপজেলার বাস ষ্ট্যান্ডের এলাকার বাসা থেকে দুটি ব্যাগে রাখা ১৯টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত সুন্দরবনের চোরা শিকারী ও বন্যপ্রানী পাচারকারী মো. ইলিয়াস হাওলাদার শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. মতিন হাওলাদারের ছেলে ও মো. মনিরুল ইসলাম শেখ শরণখোলা উপজেলার বাস ষ্ট্যান্ডের এলাকায় বর্তমানে বসবাস করলেও সে বাগেরহাট সদরের ভদ্রপাড়া গ্রামের মো. মোশারেফ শেখের ছেলে।

এই বিপুল সংখক হরিণের চামড়া উদ্ধারের মাত্র তিনদিন আগে (মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে) বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দবন বিভাগ ও র‌্যার সদস্যরা শরণখোলা উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি পূর্ন বয়স্ক বাঘের চামড়াসহ মো. গাউস ফকির নামে এই চোরা শিকারিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার চোরা শিকারী বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের রশিদ ফকিরের ছেলে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় দুপুরে তার অফিসে প্রেস ব্রিফিংএ জানান, পুলিশের বর্তমান আইপিপি’র নির্দেশে বাগেরহাট পুলিশ সার্বক্ষনিক ভাবে সুন্দরবনের চোরা শিকারী ও বন্যপ্রানী পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট ডিবি পুলিশের এসআই গাজী ইকবাল হোসেনের নের্তৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তারকৃত মনিরের বাসার সামনে গেলে মনির ও ইলিয়াস পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।

এসময়ে তাদের গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে মনির বার বাসার দোতালা ঘরের কাঠের পাটাতনের উপর হতে দুটি ব্যাগে রাখা ১৯টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুন্দরবনের চোরা শিকারী ও বন্যপ্রানী পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য স্বীকার করেছে তারা সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে এসব চামড়া পাচারের উদ্যেশে মজুদ করেছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে প্রেস ব্রিফিংএ জানান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ২৩, ২০২১)