নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ৬ উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে মোট ২৪টি বুথে করোনার টিকা দেয়া হবে। এ জন্য জেলাজুড়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। এ জেলার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৬০ হাজার টিকার ডোজ পাওয়া যাবে। এ জন্য প্রতিটি উপজেলায় ইপিআই প্রকল্পের টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা টিকা প্রয়োগ কমিটির সভায় এ তথ্য জানান কমিটির সদস্য সচিব নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডাঃ আলমগীর কবীর।

জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে এতে বক্তব্য রাখেন,কমিটির উপদেষ্টা নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর।

সভা সুত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারিভাবে প্রয়োগকৃত টিকার জন্য টিকা গ্রহীতাকে কোনও মূল্যে পরিশোধ করতে হবে না ।প্রথম পর্যায়ে এ জেলায় ৬০ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা শীঘ্রই এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।জেলার ৬ উপজেলার হাসপাতালের প্রতিটিতে চারটি করে টিকা প্রয়োগের বুথ থাকবে। অন্যান্য ইপিআই কার্যক্রমের চেইনের আদলেই টিকা দেওয়া হবে।

প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ১০০/১৫০ জনকে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। টিকা প্রয়োগে প্রতিটি বুথে দুইজন নার্স ও চারজন স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করবেন। টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করার ৭দিন আগে ওই টিকা তাদের শরীর প্রয়োগ করা হবে। জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা কার্যক্রম শুরু করার পর টিকা গ্রহিতাদের টিকা দেয়ার পর কেন্দ্রের ওয়ার্ডের বিছানায় ৩০ মিনিট করে বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সভায় টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সিভিল সার্জন জানান, প্রত্যেক টিকারই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। জ্বর আসে, ব্যথা হয়।এরকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে অন্যান্য স্বাভাবিক টিকার মতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, করোনা টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা আগে পাবেন।তবে কোনো ব্যক্তিকেই জোর করে টিকা দেওয়া হবে না। যারা টিকা নিতে ইচ্ছুক তারা নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন করবেন। কেন্দ্র থেকে যাচাই-বাছাই করে যার টিকা প্রয়োজন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাকে টিকা দেওয়া হবে। যারা টিকা নিতে আগ্রহী তাদের তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই এই তালিকা তৈরির কাজ সমপন্ন হবে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আক্তার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম, জেলা আনসার ভিডিবি কর্মকর্তা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধি।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০২১)