রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : আদিবাসীদের বাসভূমিকে জাতীয় উদ্যান, তথাকথিত সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করে বনবিভাগ কর্তৃক ভূমি উদ্ধারের নামে আদিবাসী ও অধিবাসীদের উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশাল সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র ফুটবল মাঠে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক এর সভাপতিত্বে সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন প্রবীর নকরেক।

এ সময় বক্তব্য রাখেন অজয় এ মৃ, যষ্ঠিনা নকরেক, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’র চেয়ারম্যান উইলিয়াম দাজেল, বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জন জেত্রা, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, জিএসএফ এর সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল, গাসুর ইব্রীয় ম্রং, আদিবাসী যুব ফোরামের আহবায়ক অনন্ত ধামাই, টনি চিরান, আজিয়ার সভাপতি মিঠুন হাগিদক, শ্যামল মানকিন, অরনখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, জুলহাস উদ্দিন, আক্তার হোসেন, রেজাওয়াল করিম বেনু সহ প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, “সংরক্ষিত বনভূমির নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। মধুপুরের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে। বনবিভাগ কর্তৃক পীরেন সহ সকল হত্যার বিচার করতে হবে। আদিবাসীদের উপর শত শত মিথ্যা বন মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।”
আদিবাসীরা দুপুর ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তারপর মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা, সার্কেল মধুপুরের কামরান হোসেন, মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিক কামালসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তারা অবরোধ কর্মসূচি তুলে নিয়েছেন।

মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু বলেন, “আমরা আদিবাসীদের ন্যায় ও যুক্তিসংগত

দাবিতে সহমত ও সংহতি পোষণ করছি। কৃষিমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করবো।”

উল্লেখ্য, বিভিন্ন উপজেলার ৩৪ টি সংগঠন আদিবাসীদের আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

(আরকেপি/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০২১)