তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে মামলায় ফাঁসানো ও ভয় দেখিয়ে র্অথ আদায়ের ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক এএসআই ও সিপাহীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার হবিগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খালেদুল করিম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, হবিগঞ্জ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার চিড়াকান্দি আবাসিক এলাকার মৃত যতীন্দ্র মোহন তালুকদারের পুত্র প্রশান্ত কুমার তালুকদারকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন হবিগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই আবু হানিফ ও সিপাহী নোটন দাস। উপস্থিত সময়ে কিছু টাকা দিলেও পরে ক্রমান্বয়ে টাকার পরিমান বাড়াতে থাকেন তারা।

বিষয়টি জানা-জানি হয়ে গেলে প্রশান্ত কুমার তালুকদার বাদি হয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগে ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে এএসআই আবু হানিফ ও সিপাহী নোটন দাসের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

রবিবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খালেদুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, হবিগঞ্জ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার তালুকদারের অভিযোগের ভিত্তিত্বে ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে এএসআই আবু হানিফ ও সিপাহী নোটন দাসের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অপকর্মের দ্বায় পুরো ডিপার্টমেন্ট নিতে পারে না। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত অফিসিয়াল কার্যক্রম থেকে তাদের সাময়িক ভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

প্রশান্ত কুমার তালুকদার বলেন, ‘মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ওই দুই ব্যক্তিরা প্রতিনিয়তই আমাকে ফোন দিয়ে টাকা চাইতেন। তাদের চাহিদামত টাকা না দিলে তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে মামলায় ফাসাঁনোর ভয় দেখান। তবে এর মধ্যে তারা আমার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন’।

(টিএইচ/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০২১)