আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের জাগিরকয়া নামক স্থানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাংশা মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম.মিজানুর রহমানের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত। 

রবিবার বিকেল ৪.৩০ টায় উক্ত অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মোক্তার হোসেনের সঞ্চালনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাদাত হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পাংশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ কে এম শরিফুল হুদা সাগর,পাট্রা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী, পাংশা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রেজা সহ পুলিশের একটি টিম, বাংলাদেশ প্রাথমিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মালেক সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে স্থানীয়রা।

অনুষ্ঠান শুরুতে ফলকে জেলা পুলিশের পক্ষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পাংশা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন। এছাড়াও ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাংবাদিক মোক্তার হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী।পরে শহীদ ওসির স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

পরর্বতীতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পাট্রা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী, পাংশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ কে এম শরিফুল হুদা সাগর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি এই থানায় এসে জেনেছি আমাদের একজন অফিসার নিজের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। তিনি উপস্থিত সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য বলেন আপনারা প্রতিবাদ করতে শেখেন। কারো মাদতে কোন সন্তান যেন খারাপ পথে না চলে যায় সেটা লক্ষ্য রাখবেন। মৃত্যু বার বার হয় না। একবারই মৃত্যু হয়। তবে ভালো কাজ করে মৃত্যুবরণ করলে তার মৃত্যু হলেও তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকেন। এ ওসি সাহেব তার নিদর্শন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৩০ জানুয়ারি তৎকালিন পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম.মিজানুর রহমান দ্বায়িত্ব পালন কালে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের জাগিরকয়া নামক স্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। জানা যায় ওই সময় পৌরেত বাহিনীর প্রধান কামালের নেতৃত্বে অত্র এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রম দিন দিন বাড়তে থাকে। যার ফলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কামাল বাহিনীর কার্যক্রম প্রতিহত করতে অভিযান পরিচালনা করতে যান ওসি এস, এম মিজানুর রহমান, কিন্তু রাস্তার অবস্থা ভালো না থাকায় ঘটনা স্থল থেকে ১ কিলোমিটার দুরে গাড়ি রেখে পায়ে হটে আসতে থাকে রাতের অন্ধকারে ঘটনা স্থলের দিকে। ওসি সঙ্গী ফোর্সদের থেকে সামনে ওয়াকিটকি হাতে নিয়ে এগুতে থাকেন, যার ফলে রাতের অন্ধকারে ওয়াকিটকির আলো লক্ষ করে গুলি করলে ঘটনা স্থলে এস,এম মিজানুর রহমান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

অনুষ্ঠান শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১)