মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে প্রাণঘাতী করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। 

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজারসহ দেশের সব জেলায় একযোগে করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এলক্ষে ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার সদরসহ ৭টি উপজেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনার টিকা পেতে হলে সবাইকে ‘সুরক্ষা অ্যাপে’র মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফন্টলাইনারদের দেওয়া হবে। যাদের ইন্টারনেট সুবিধা বা অ্যাপ ব্যবহারের মত ডিভাইস নেই তারা মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে সেখানে বুথ খোলা হয়েছে। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আটটি বুথে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে তিনটি করে বুথে টিকাদান করা হবে। প্রতিটি বুথে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এর মধ্যে মেডিকেল অফিসার, নার্স, মিডওয়াইফ এবং পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাগণ থাকবেন।

জেলা সদর হাসপাতালের আটটি বুথে ১৬ জন টিকা দানকারী ও ৩২জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে জেলার ৭টি উপজেলায় করোনার টিকা বরাদ্ধ হয়েছে কুলাউড়ায় ৫৫০০ ডোজ, রাজনগর ৩৫০০,জুড়ী ২৫০০,বড়লেখা ৪০০০, কমলগঞ্জ ৪০০০, শ্রীমঙ্গল ৫০০০, মৌলভীবাজার সদর ৫৫০০ ডোজ। মোট এডি সিরিঞ্জ ৬৪৮০০টি। প্রথম ধাপে জেলায় টিকা দেয়া হবে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বিজিবি, সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী, জনপ্রতিনিধি,ব্যাংক, বীমা প্রশাাসনের মাঠকর্মীসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সম্মুখযোদ্ধাদের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও আইসিটি) মো. মামুনুর রশীদ,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডা: চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।

এর আগে গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বেক্সিমকো ফার্মার প্রতিনিধিরা হিমনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই সেন্টারে যথাযথ নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন রিসিভিং কমিটির কাছে পাঁচ কার্টন ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন। এতে মোট ছয়হাজার ভায়ালের মধ্যে ষাট হাজার ডোজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১)