নীলফামারী প্রতিনিধি : প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বে-সরকারী কলেজ সমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত ৫.৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে দ্রুত এমপিওভুক্তির দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন নীলফামারী জেলা শাখা । 

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের স্বাধীনতা অম্লান চত্ত্বরে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয় ।

সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতায় বলেন, ‘বেসরকারি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের ৫,৫০০ জন অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক জনবলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধার (এমপিও) বাইরে রয়েছি। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয় না । ‘

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ‘করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত নামমাত্র বেতনটুকুও বন্ধ থাকায় শিক্ষকগণ জীবন- জীবীকার কঠিন সমীকরণে আটকে গেছে।একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকগণ ক্যাডার/নন -ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রী ৩য় শিক্ষকগণ জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন।’

সংগঠনের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি কামরুল আহসান কল্লোল বলেন, ’কামিল(মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকগণও এমপিওভুক্ত হয়েছেন ।অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকগণও এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না,যা চরম বৈষম্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী।’

সংগঠনের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা ইয়াসমীন ইমু বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরেও অদ্যাবধি আমরা সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছি।সর্বজন স্বীকৃত সত্য যে, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরের অনেক বৈষম্য কমেছে কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত সারাদেশের মাত্র ৫,৫০০ জন শিক্ষক এখনো এমপিওভুক্তির বাইরে রয়েছেন।’

মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আজাহুরুল ইসলামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ।

(কে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১)