মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একসময়ের প্রিয়মুখ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব,আবৃত্তিকার ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের তিনবারের জেলা সভাপতি মির্জা সামস সালেকীন রানা (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

রবিবার দুপুর ১টার দিকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয় মৌলভীবাজারের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দেয়া তুখুর এই সংগঠকের। মির্জা সামস সালেকিন রানার মৃত্যুর সংবাদ মৌলভীবাজারে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে জেলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে। সেখানেই এক সাপ্তাহ যাবত চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন। এর পর কিছুটা উন্নতি হলেও রোববার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সেখানেই মৃত্যু হয়।

মির্জা সামস সালেকিন রানার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চাদনীঘাট ইউনিয়নের মাতার কাপন গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বেগের বাড়ী। ৪ভাই আর ৪ বোনের মধ্যে রানা ছিলেন ভাইদের মধ্যে তৃতীয়। ইন্সুর‌্যান্স জগতে কর্মরত মির্জা রানা বিবাহিত জীবনে স্ত্রী ও দুই কন্যা শিশু রেখে গেছেন বলে জানা যায়। সোমবার সকাল ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাঁকে।

বিগত বিএনপি জোট সরকারের শাষনামলে মৌলভীবাজারের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অত্যান্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও জেলা জাসাসের সাবেক সভাপতি রানা ছিলেন,অত্যান্ত ভদ্র এবং শান্ত স্বভাবের একজন সত্যিকারের সাদা মনের মানুষ।

এদিকে রানার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান বলেন, রানা ছিলেন আমার খুব কাছের বন্ধু ও সহকর্মী। পারিবারিক কারনে সাংস্কৃতিক ও দলীয় কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকলেও সবসময় খুঁজ খবর রাখতেন। তার মৃত্যু আমাদের জাতীয়তাবাদী অঙ্গনে বিশাল শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে,যা সহজে পূরণ হবার নয়।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১)