মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মাদক, পতিতা আর মানবপাচার এই তিনের একক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে শ্রীমঙ্গলের অপরাধ সাম্রাজ্যের অধিপতি বহুরূপি নারী আছমা। এসব অপরাধে বেশ কয়েকবার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেলও কাটেন আছমা। তবুও তাঁর অপরাধ সাম্রাজ্য থেকে একটুও সরে আসেনি এই নারী। জেল থেকে বের হয়ে আবারো শুরু হয় তাঁর সেই পুরোনো কান্ড। অবশেষে ফের  শ্রীমঙ্গলে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে মানবপাচারকারী চক্রের হোতা আছমা (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। 

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের এসআই ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের গুহরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

শ্রীমঙ্গল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে পুলিশ শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় অবস্থিত আছমার বাসায় অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে ২ নারী ও ২ পুরুষ খদ্দেরকে আটক করা হয়। তবে অভিযানের খবর টের পেয়ে আগেই সেখান থেকে কৌশলে সটকে পড়েন আছমা।

শ্রীমঙ্গল থানা সূত্রে জানা যায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি সংঘবদ্ধ মানব অপরাধচক্র বলে স্বীকার করে। আসামিরা উক্ত স্থানে টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে নারীদের এনে টাকার বিনিময়ে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে মানবপাচার করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয় এবং আর এই মামলার সূত্র ধরে বুধবার রাতে আছমা পুলিশের জালে ধরা পরে।

এদিকে শুধু আছমা নয়, পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলে মাদক,পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচারের সাথে আরো বহু অপরাধির অবাধ বিচরণ রয়েছে শ্রীমঙ্গল শহরে এমন গুঞ্জণও শুনা যায়।

হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা রুহেল আহমেদ বলেন, আছমার তার বসত বাড়ি অনেকটা ওপেন যৌনপল্লী বানিয়ে ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রিসোর্টে নারী সরবরাহ কাজে লিপ্ত।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, আছমাকে এর আগেও এসব অভিযোগে পুলিশ আটক কওে আর এসব ঘটনায় ইতিপূর্বে আরো চারজনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিনি বলেন, মানবপ্রাচারকারী ও মাদক ব্যবসার সাথে আছমা ছাড়াও আরো যারা জরিত আছেন তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১)