রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি কপোতাক্ষ নদে ট্রলার ডুবির  ৫৪ ঘণ্টা পর নিখোঁজ এক শমিকের লাশ উদ্ধার করেছে। বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে  কপোতাক্ষ নদের আশাশুনির শ্রীপুর লঞ্চ ঘাটের বিপরীতে খুলনা জেলার কয়রা এলাকা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃতের নাম বাবুরালি গাজী (৫৫)। তিনি আশাশুনি উপজেলার কাপষণ্ডা গ্রামের মুনজিল গাজীর ছেলে।

কাপষণ্ডা গ্রামের সোহাগ হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার সকালে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট থেকে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙা নামকস্থানে বালি ভর্তির জন্য খালি বস্তা ও শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার সময় কপোতাক্ষের প্রবল স্রোতে চালক আব্দুস সাত্তারসহ ১৪জন শ্রমিক পানিতে তলিয়ে যায়। ১১ জন শ্রমিক ও ট্রলার চালককে উদ্ধার করা গেলেও তার বাবা বাবুরালি, পুঁইজালা গ্রামের আব্দুল আজিজ ও বকচরা গ্রামের শফিকুল ইসলাম কপোতাক্ষে ডুবে যায়। এরপরপরই তাদেরকে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফিন্স এর ডুবুরি দল। বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আশাশুনির শ্রীপুর লঞ্চ ঘাটের বিপরীতে খুলনার কয়রা এলাকায় কপোতাক্ষ নদে ভাসমান অবস্থায় তার বাবার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারি পরিচালক তারেক হাসান ভুঁইয়া জানান, নিখোঁজ হওয়া শ্রমিক বাবুরালীর লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপর দু’জনের সন্ধান চলছে। বিকেল ৫টায় উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। শুক্রবার আবারো অভিযান চলবে।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবীর জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই বাবুরালির লাশ বৃহষ্পতিবার বিকেলে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১)