চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।

২০১৩ সালে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট বিদ্যমান থাকা সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পর গত ১২ অক্টোবর ২০২০ইং তারিখে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আরেকটি ট্রাস্ট গঠন এবং এর সকল ট্রাস্টিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-সে মর্মে জবাব প্রদানে সংশ্লিষ্ট বিবাদীগণকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

আগামী ৪ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ ধার্যকৃত দিনে শুনানি হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কর্মকান্ডে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদালত উভয়পক্ষের প্রতি নির্দেশ জারি করেছেন।

গতকাল মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত, চট্টগ্রাম দীর্ঘ শুনানি শেষে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট সেক্রেটারি লায়ন মো: মুজিবুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীপক্ষ সালাউদ্দীন আহমেদ গংয়ের বিরুদ্ধে আদেশ নং-০১, তারিখ-১৮/০২/২০২১ অনুবলে এ নির্দেশ জারি করেছেন।

এ আদেশের ফলে অবৈধ দখলদার সালাউদ্দীন আহমদ ও তার কথিত ট্রাস্টিগণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, গত ২ জুন ২০২০ লায়ন মো. মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়েরের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন আহমদ লকডাউন চলাকালে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেন।

এরপর তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে একটি ভুয়া ট্রাস্ট গঠন করে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দাবি করে অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে নেন।

ফলে শিক্ষাদীক্ষায় অবহেলিত কক্সবাজারবাসীকে উপহার দেয়া প্রধানমন্ত্রীর এ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১)