স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাই ডাবলু  একই ইউনিয়নের সৌদিয়ারব প্রবাসী সাহিদ প্রামাণিক (৫৫) কে জনসম্মুখে দৈহিক ভাবে প্রহার করে টাকা কেড়ে নিলেন। 

আহত সাহিদ প্রামাণিক বলেন, আমি বরাট বাজারে টিন ও গরু কেনার উদ্দেশ্যে যাই। প্রথমে টিনের দোকানে গেলে ওইখানে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রব বিশ্বাস (মুনা) আমাকে দেখে চলে যায়, তবে কিছু সময়ের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন চেয়ারম্যানের ভাই ডাবলু। ডাবলু এসেই আমাকে বলে তোর সাহস বেড়ে গেছে, তুই বাইরে আয়। বলেই হাত ধরে বাইরে নিয়ে যায় তখন ডাবলুর সাথে ছিলো রবিউল, ফুরকান ও বকুল সাথে ছিলো। তবে তিনি বলেন রবিউল এলাকায় ডাকাতি করে আর বকুল ক্যাডার হিসেবে ডাবলুর কাজ করে। তিনি আরো বলেন বকুল ডাবলুর সুদে ব্যবসার পাটনার।

আমাকে দোকানের বাইরে এনেই কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে, তখন আমার পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা বকুল নিয়ে নেয়। পরে আমাকে লাথি মেরে বাজার থেকে বেড় করে দেয়।

উল্লেখ্য, অভিযোগ উঠেছে, গত ১৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার সময় কথা আছে বলিয়া প্রবাসী সাইদ প্রমাণিতকে ডেকে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের সহযোগী সন্তস মন্ডল, পরে সেখানে গিয়ে সাইদ দেখতে পায় মুনা মন্ডল তার অস্ত্র ধারি সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে রড, চেয়ারের পায়া দিয়ে এলোপাতাড়ি মেড়ে জখম করেছে।

এ বিষয়ে প্রবাসী সাইদ প্রমাণিত বলেন, আমি বিদেশ থাকে আসার পর থেকে আমাকে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে হয়রানি করতে থাকে।এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান নিজেই আমার কাছে টাকার দাবি করে, বলেন সামনে নির্বাচন তোকে আমার নির্বাচনের জন্য ২ লাখ টাকা দিতে হবে। তখন আমি বলি কেনো আমি আপনাকে টাকা দিবো, আপনি কি আমার কাছে কোন টাকা পান, তাতেই খেপে যায় চেয়ারম্যান। তার কিছু দিন পর থেকে আমাকে সামাজিক ভাবে হয়রানি করতে থাকে।

এক পর্যায়ে আমাকে তার সহযোগী দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় খোলা পুকুর পারে সেখানে গেলেই চেয়ারম্যান বলে তুই ইদানিং মুরগী চুরি করে খাচ্ছিস লোকজন নিয়ে। আমি তখন বলি আমার পকেটে কি টাকা নাই যে মুরগী চুরি করে খেতে হবে। আপনার সাথে থাকা মাসুক, সাদ্দাম, সিদ্দিক, রবিউল এরাই তো মুরগী চুরি করে, যা আপনি জেনেও কিছু বলেন না। তখনি আমাকে এলোপাতাড়ি মাড়তে থাকে মুনা চেয়ারম্যান নিজেই। তখন তার অস্ত্র ধারি একজন ক্যাডার বলতে থাকে শালার ধর ধর অস্ত্র চালান দিয়ে দেই, যেভাবে বয়রাটের ডাবলু কে অস্ত্র চালান দিছি সেভাবেই এই শালাকেও চালান দিয়ে দেই।

উক্ত ঘটনার পেক্ষিতে পাংশা মডেল থানায় প্রবাসী সাইদ প্রমাণিত জিডি করেছেন (নং-৯৬১)

তবে এ বিষয়ে পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ রব বিশ্বাস (মুনা) কে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিছিভ করেন নাই।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১)