বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মোবাইল চুরির অভিযোগে আশিক জোমাদ্দার (২২) নামে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিকে হাত পা বেঁধে উলঙ্গ করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর মামলা হলেও চারদিনেও প্রধান আসামী চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল খান ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিক জোমাদ্দার বাগেরহাটের পাশর্^বর্তী পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার চরনী পর্ত্তাশী গ্রামের কবির জোমাদ্দারের ছেলে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মীর মো. সাফিন মাহমুদ বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার চরনি পত্তাশি গ্রামে আশিক জোমাদ্দারকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বড় জামুয়া গ্রামে হাত পা বেঁধে উলঙ্গ করে নিযাতন করে ইউপি সদস্য সোহেল খান ও তার সহযোগিরা। এই নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলফোনে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়। নির্যাতনের এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে নির্যাতনের শিকার আশিককে উদ্ধার করে এনে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় আশিক বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ঘটনার পর নির্যাতনকারি ইউপি সদস্য একাধিক মামরার আসামী সোহেল খান ও তার সহযোগিরা গাঁ ঢাকা দেয়ায় তাদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশ সন্ত্রাসী ইউপি সদস্য সোহেলের বাড়ি অভিযান চালিয়ে কয়েকটি রামদা ও হকি ষ্টিক উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১)