দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : মানুষ মানুষের জন্য/জীবন জীবনের জন্য/একটু সহানভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু... বিখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী ভূপেন হাজারীকার গাওয়া গানটি আজও মানুষের হৃদয়ে স্পর্শ করে। কিন্তু আমাদের সমাজ লোক চক্ষুর সামনে অসংখ্য ঘটনা আমাদের নারা দেয় না। 

২৮ ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার একাত্তরের সাংবাদিক আর আমি একটি ঘটনা অনুসন্ধান করে ফিরছিলাম। শহরের গোয়ালচামট শ্রী অঙ্গন মার্কেটের পশ্চিম কোনায় রমেনের চায়ের দোকানে দাড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, হঠাৎ দক্ষিণ দিক থেকে একটি কোমলমতি মায়াবি চেহারার ১৩ বছরের এক শিশু ত্রি-চক্রযান ( রিকশা) চালিয়ে আসছিল। খুব কাছে এলে শিল্প মননে দার করালাম, বললাম তুমি তো রিকশার প্যাটেল নাগল পাচ্ছনা কি ভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তায় বের হলে। উত্তরে সে জানায় ক্ষিদা লাগলে কিছু মনে থাকে না। নাম কি তোমার? কোথায় থাকো? সে জানায় তার নাম সাব্বির বয়স ১৪ চৌদ্দতে পা দিয়েছে পিতা আয়নাল ঢাকায় থাকে খোঁজ খবর নেয় না। মা রেহেনা বেগম এখানে সেখানে বাবুর্চির কাজ করে। দুই ভাই এক বোন। ছোট বোনকে মাদ্রাসায় দিয়েছে। মেজ ভাই বাড়িতে থাকে শহরের গোয়ালচামট খোদাবক্স রোডে দুলাল মহাজনের বাড়িতে ভাড়া থাকে। একটু ভাল হাবার জন্য ২৫০ টাকা দিন হারে রিক্সা ভাড়া নিয়ে চালায় সে প্রতিদিন এক দেরশত টাকা আয় করে।

গ্রামের বাড়ি সদরপুর খেঁজুরের ট্যাক। ব্যস্ত রাস্তায় মেশিন চালিত রিক্সা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করো জানতে চাইলে জানায় কষ্ট তো হয় কিন্তু কি করবো মায়ের তো সব সময় কাম থাকে না। বড় হয়ে কি হতে চাও জানতে চাইলে সে বলে কিছু হবার নাই কাজ করে ভাত খাইতে পারলেই হলো। আমি আমার সহযোদ্ধা শিশুটির কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম আজও আমরা এই সব শিশুদের জীবন ঝুকি নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম দেখি আর বোধের দরজায় করা নারতে কিছু একটা লিখি।

(ডিসি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১)