ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর গ্রামের কলুপাড়া থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইসমাইল হোসেন সুজন (৩০) নামে এক মাদ্রাসা সুপারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১ মার্চ) সকালে ওই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সুজন সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। গত ৪ বছর ধরে পরিবার নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করে আসছিল। তিনি বড়বাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপার পদে কর্মরত ছিলেন।

মধুহাটি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকেজানান, সকালে নিহত সুজনের মা রহিমা খাতুন তাকে ডাকতে গিয়ে ঘরের মধ্যে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের শ্যালক মেহেদি হাসানউত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, তার বোন তিনা গত মাসের ৪ তারিখে তাদের বাড়িতে গিয়েছেন। বাড়িতে সুজনের মা আর সুজন থাকতেন।

তিনি আরো বলেন, আমার দুলাভাইকে হত্যা করা হতে পারে। নিহতের স্ত্রী ইসমাত জাহান তিনাউত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, সুজন রোববার সন্ধ্যায় সুশান্ত নামের এক ব্যক্তির সাথে বাইরে যায়। স্ত্রীর দাবি তার স্বামী গোপালপুর এলাকার একটি মন্দিরের কাছে জমি কেনেন। এই জমিটি নিয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে সমস্যা সৃষ্টি হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের কতিপয় লোকজন জমিটি না কিনতে নিষেধ করেন। জমিটি ফিরিয়ে দিতে টাকা ফেরত নিয়েছিল নিহত সুজন।

নিহত সুজনের পিতা আবুল খায়ের জানান, আমার ছেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর সমস্যা হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে গোপালপুরের শরিফুলের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল। স্থানীয় কাজি তৌহিদুর রহমান জানান, রোবাবার সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গিয়েছিল সুজন। দেখা করে আবার মাদরাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। সকালে তার মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ পায়।

স্বজনদের ভাষ্যমতে, যে কোন বিরোধের কারণেই সুজনকে হাত পা বেধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারউত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

(একে/এসপি/মার্চ ০১, ২০২১)