স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়াকান্দি ( শেখপাড়া) গ্রামের বাসিন্ধা আলেয়া বেগম। খুলনা জেলার খানজাহান আলী উপজেলার শিরোমনি পুর্বপাড়া এলাকায় স্বামী মোঃ ইউনুছ আলী খানসহ বসবাস করতেন। সেখানে জনপ্রিয় ডিপিএস পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এ ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ১০০ টাকার প্রিমিয়াম ডিপিএস করেন। ডিপিএস নং- ৪০-০২৬৩২২, শাখা কোড-৩৪৩। সেখানে কিছুদিন প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার পর বালিয়াকান্দিতে বসবাস শুরু করেন। পরে ২০১১ সাল থেকে বালিয়াকান্দিতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে আসছেন। জনপ্রিয় ডিপিএস পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর বালিয়াকান্দি শাখায় ট্রান্সফার করেন। এখানেই প্রতিমাসের টাকা জমা দিয়ে আসলেও বীমার মেয়াদ ইতিমধ্যে ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু স্থায়ীয় কোন অফিস নেই, কর্মী নেই, এখন টাকা পাবে কিভাবে। বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তার প্রাপ্ত টাকা পায়নি। এ ভাবেই সোমবার দুপুরে আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন।

তার ছেলে সোহেল খান বলেন, যারা টাকা নিয়েছিল, তাদের কাছে একাধিকবার বলেও কোন সুরহা হয়নি। তারা নানা ধরণের তালবাহানার কথা বলে। তাহলে কি আমি আমার পাওনা টাকা পাবো না।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর ঢাক ঢোল পিটিয়ে বীমা দিবস পালিত হচ্ছে। তাহলে এ বীমা দিবসের উদ্দেশ্য কি? আমাদের এরকম অনেক গ্রাহক রয়েছে তারা দিনের পর দিন ঘুরছেন। যাতে এ ধরণের হয়রানীর হাত থেকে বীমা গ্রাহকরা রক্ষা পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় মতিঝিল বা/এ এলাকার ঠিকানার অফিসের টেলিফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন রিসিপ করেননি।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০১, ২০২১)