ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধা নারীর পা ভেঙ্গে দিলো ছিদ্দিক নামের এক বখাটে।

ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে। এঘটনায় বৃদ্ধার স্বামী চরজব্বার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আহত নারী একই গ্রামের মৃত ফজল মিয়ার পুত্র মমিন উল্যাহর স্ত্রী।

ভুক্তভোগি জাহানারা বেগম(৫৫) বলেন, একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র ছিদ্দিক উল্যাহ(৩০) ও তার বাগিনা বাবুল (২০) দির্ঘদিন ধরে আমার মেয়ে এবং পুত্র বধুকে উত্ত্যাক্ত করে আসছে, এসব প্রতিবাদ করলে শুরু হয় আমাদের ওপর নানা নির্যাতন। রাতে ঘরের চালে ইট মারা, চলাচলের পথে বাঁধা দেয়া অকত্য ভাষায় গাল মন্ধ করে এর প্রতিবাদ করলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছিদ্দিক ও বাবুলসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সন্ধ্যা বেলায় আমাকে ঘর থেকে জোর পূর্বক বের করে আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে আমার পায়ের ৩টি আগুল ভেঙ্গে পেলে। একাধিকবার সালিশ বিচার করেও কোন ফল পাইনি।

২৮ ফেবব্রুারি (রবিবার) আমার বাড়ীর নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় কয়েটি শিশু ছেলে আমাদের নির্মাণ কাজের জন্য রাখা বালু নিয়ে খেলা করে এতে শিশুদের আমরা বাঁধা দিয়ে তাদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেই। কিছুক্ষণ পর ছিদ্দিক, বাবুল ও ৭-৮ জনের সন্ত্রাসী বাহিনি আমাদের ওপর আক্রমন করে এতে আমি এবং আমার স্বামী মোমিন উল্যাহ(৬৫) মেয়ে মিনারা বেগম, পুত্রবধূ কাজল ও কাজ করতে আসা মেস্ত্রীদের মারধর কওে এবং আমাদেরকে বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি প্রদান করে।

ভুক্তভোগির মেয়ে মিনারা বেগম বলেন, ছিদ্দিক একজন মাদকসেবী, লম্পট ও সন্ত্রাস সে বিভিন্ন সময় রাতের বেলায় আমাদেকে উত্যাক্ত করে সে কারো বিচার মানেনা।

অভিযুক্ত ছিদ্দিকের সাথে জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা স্বিকার করে বলেন, "তারা আমার সাথে খারাপ আচরন করেছে বলে হামলার ঘটনা ঘটে"।

চরজব্বার থানার এসআই সুরুজ বলেন,"লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বাকিটা তদন্ত করে কোর্টে প্রসিকিউশন দিয়ে দিবো"।

(এস/এসপি/মার্চ ০১, ২০২১)