নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় বোরো ধানের একটি মাঠ থেকে একই রাতে ৯টি শ্যালোমেশিন চুরি হয়েছে। সোমবার দিনগত রাতে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কুরকুচি বিলে চুরির এ ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া শ্যালো মেশিনের সাহায্যে দুই শতাধিক বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে বোরো ধান। ভুক্তভোগী কৃষকদের দাবি, রোপণকৃত জমিতে সময়মত সেচ দিতে না পারলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে তাদের কাঙ্খিত স্বপ্নের ফসল। 

বিলের কৃষক এনামুল হক, আয়েজ উদ্দিন মৃধা, হাসান আলীসহ আরও অনেকে জানান, বর্ষা শেষে পানি কমতে শুরু করলে এলাকার কৃষকরা বিলে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করে। ওই সময় থেকে সেচকাজের জন্য বিলে শ্যালোমেশিন চালু করেন তারা। বাড়ি থেকে বিলের দুরত্ব অনেক হওয়ায় প্রতিদিন আনা-নেয়া সম্ভব না হওয়ায় জমিতেই রাখা হয় মেশিনগুলো।

তারা আরও জানান, বীজতলার সময় মাঠে নামানো মেশিনের সাহায্যে জমিতে সেচ দিয়ে রোপণ কাজ শুরু করা হয়। এরপর বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলে সেচ কাজ। ধান পাকতে শুরু করলে সেচের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়। এরপরও বিলের জমিতেই পড়ে থাকে মেশিনগুলো। অনেকে ধান কাটার পর অবসর সময়ে বিল থেকে মেশিনগুলো তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কৃষকরা বিলের জমিতে শতাধিক মেশিন রেখে নির্বিঘেœ সেচকাজ চালিয়ে আসছিলেন। কখনও পাহারা দেয়ার প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু হঠাৎ করেই সোমবার রাতে কুরকুচি গ্রামের সোহেল রানা, ঘোনা গ্রামের আবু সাঈদ, বাঁকাপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ, শ্রীবাস চন্দ্র ও মকছেদ আলী, হোসেনপুর গ্রামের জামাল হোসেন, মালশিরা গ্রামের গোপাল চন্দ্র ও সন্যাসীতলা এলাকার হিরো ইটভাটির দুইটি মেশিন চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরেরদল। এতে করে বিলের অন্য কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু সাঈদ, সোহেল রানাসহ আরও অনেকে জানান, চুরি যাওয়ায় মেশিনগুলোর আওতায় তারা দুই শতাধিক বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে সার প্রয়োগের কাজ শেষ হয়েছে। জমিতে সঠিক সময়ে সেচ দিতে না পারলে কাঙ্খিত ফলনে ধস নামতে পারে। এ অবস্থায় ধান বাঁচাতে তাদের নতুন করে মেশিন কিনে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে বাড়তি খরচের মুখে পড়বেন তারা। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(বিএস/এসপি/মার্চ ০২, ২০২১)