আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক জাফর ইসলাম (১৯)কে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তার তিন আত্মীয়কে আটকের পর অবশেষে অভিযুক্ত লম্পটকে গ্রেফতারের পর আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনায় থানা মামলা দায়ের হয়েছে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত ২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে অভিযক্ত ধর্ষককে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামে। ধর্ষক দরবস্ত ইউনিয়নের মিরুপাড়া গ্রামের আইনুল ইসলামের ছেলে জাফর ইসলাম (১৯)। ছেলে ও মেয়ে দুজনেই নিকট আত্মীয় আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আত্মীয়তার সূত্রে প্রায়ই জাফর ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ঘটনার দিন ১মার্চ সোমবার রাত ৮টার দিকে সে দেবপুরে যায়। আত্মীয়তার সুবাদে খাওয়া-দাওয়া শেষে সে বাড়িতে ফিরে যায়। কিন্তু রাত ১০টার দিকে সে ফিরে এসে ভুক্তভোগীকে দরজা খুলতে বলে আচমকাই জড়িয়ে ধরে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ঘরে ভুক্তভোগী একাই ছিল। পরে তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এসে জাফরকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পরের দিন মঙ্গলবার (২ মার্চ) লম্পটের খালা, খালু ও খালাতো ভাই ভোক্তভোগীর বাড়িতে যায়। তারা বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে লম্পটকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনায় দুপুরের দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও লোকজনদের নিয়ে শালিসী বৈঠক বসে। মাঝপথে ইউপি সদস্য ও উপস্থিত কয়েকজন চা-পানের জন্য বৈঠক মুলতবী করে অদূরে চলে যায়। এরই ফাকে ছেলের পক্ষে কয়েকজন ওই বাড়িতে ঢুকে ধর্ষক জাফর ইসলাম (১৯) কে ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা লম্পটের আত্মীয় দরবস্ত মিরুপাড়া গ্রামের কোব্বাস আলীর ছেলে শামছুল ইসলাম ও তার ছেলে মমিন এবং পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর মেলানদহ গ্রামের শিবলীর স্ত্রী জহুরা বেগমকে আটকে রাখে। পরে পুলিশে খবর দিলে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের এ এস আই আমিনুল ইসলাম ওই তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে । এ ঘটনায় ভোক্তভোগী থানায় উপস্থিত হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, ধর্ষককে কিছুক্ষণ আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। ঘটনাটির ভুক্তভোগী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

(এ/এসপি/মার্চ ০৩, ২০২১)