সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা নামের এক কৃষকের আকষ্মিকভাবে শতাধিক হাঁস ১৭ ফেব্রুয়ারি মারা যায়। এই হাঁস মৃত্যুর ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। হাঁস মৃত্যুর ঘটনায় চারিতলা গ্রামের মৃত: আপ্তু মিয়ার ছেলে কৃষক জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন হাঁসের কৃষক গোলাম মোস্তফা।

তিনি দাবি করে বলেন হাঁস চলাচলের নালা বা খালে পরিকল্পিতভাবে বিষ প্রয়োগ করে হাঁসগুলি মেরে ফেলেন জুয়েল মিয়া।

অপরদিকে কৃষক জুয়েল মিয়া ও এলাকার অন্যান্য কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাল্টা অভিযোগ দিয়ে বলেন, জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার জন্যই এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। শুক্রবার সরেজমিন গেলে জুয়েল মিয়া ও অন্যান্য কৃষকরা বলেন কালাইয়ের হাওড়ে জুয়েল মিয়া তার বোরো জমিতে পোকা মাকড় নিধন ও আগাছা নিধনের জন্য ইউরিয়া সারের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে জমিতে প্রয়োগ করেন।

কীটনাশক প্রয়োগকৃত জমিতে নিশান টানিয়ে চিহ্নিতও করেন এই জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। তাছাড়া হাঁসের রাখালকেও এই জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করার কথা জানিয়েও দিয়েছিলেন। এলাকার কৃষকরা দাবী করে বলেন চারিতলা গ্রামের জুয়েল মিয়ার জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা হলেও গোলাম মোস্তফা এই জমির উপরদিয়েই হাঁসের পালান নিয়েছেন। হয়তবা এই কারনেও বা অন্য কোন কারনেও হাঁস মারা যেতে পারে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করেন। এ দিকে মৃত: হাঁসগুলি আগার নদীর তীরে পুতে রাখা হয়েছে।

কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃত হাঁস ময়না তদন্তের জন্য মহাখালী হাসপাতালে পাটিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, হাঁস মৃত্যুর ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মহাখালীতে পাঠানো হয়েছে। সেখানেও রিপোর্ট এলেই আদালতের অনুমতি নিয়ে অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এসবি/এসপি/মার্চ ০৬, ২০২১)