নওগাঁ প্রতিনিধি : উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত ও শর্তাবলী উপেক্ষা করে নওগাঁর রানীনগরে একই স্কীমে দুটি গভীর নলকুপ স্থাপন করায় চলতি বোরো মৌসুমে স্থানীয় কৃষকদের ধানের জমিতে সেচ দেয়ার বিষয়ে চরম জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তপক্ষ, সেচ কমিটির সভাপতি এবং পল্লী বিদ্যুত সমিতির কাছে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ কৃষকদের।

জানা গেছে, উপজেলার একডালা ইউনিয়নের নারায়নপাড়া গ্রামের মাঠে ২০০৯ সালের দিকে বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কৃষকদের জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের লক্ষে যথারীতি নিয়ম মেনে একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করে। সেই গভীর নলকুপের আওতায় এলাকার কৃষকরা তাদের নিজ নিজ জমিতে সেচকার্য চালিয়ে আসে।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ওই গ্রামের হারুন অর রশিদ সকল শর্তাবলী উপেক্ষা করে ব্যক্তি উদ্যোগে ওই গভীর নলকুপের কাছাকাছি আরো একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করেন। এতে একই স্কীমের কৃষকরা চরম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। সেচ চার্জও বেশী আদায় করা হচ্ছে।

বিষয়টি বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সেচ কমিটির সভাপতি ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে প্রতিকার চেয়েও কৃষকরা সুফল পাননি। এই নেচ নিয়ে বিড়ম্বনার কারনে ওই স্কীমে কয়েক শ’ বিঘা জমিতে আবাদ নিয়ে শংকায় পড়েছেন কৃষকরা। অবশেষে আব্দুল জলিল প্রাং নামে এক কৃষক সম্প্রতি নওগাঁ (রানীনগর) সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।

(বিএস/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২১)