বগুড়া প্রতিনিধি : কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও ছাত্রনেতাদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিও ছাত্রনেতাদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করার দাবিতে- কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সাতমাথায় মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া জেলা সমন্বয়ক সিপিবি জেলা সভাপতি কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না। বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা আহ্বায়ক অ্যাড. সাইফুল ইসলাম পল্টু, সদস্য সচিব সাইফুজ্জামান টুটুল, সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হরিসংকর, সিপিবি বগুড়া সদর উপজেলা সভাপতি সন্তোষ কুমার পাল, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী আব্দুর রশিদ প্রমূখ ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ-এর মৃত্যু একটি রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে জেল হাজতে মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন দুর্নীতি-লুটপাটের সমালোচনা করে লেখার অপরাধে মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০২০ সালের আগস্ট মাসে। তখন থেকে তার জামিনের আবেদন ৬ বার নাকচ করে দেয়া হয়েছিল। অথচ খুনের আসামি, দুর্নীতিবাজ, কুখ্যাত অর্থপাচারকারী, আমলা, ব্যবসায়ী, শাসক দলের নেতারা যাবৎজীবন ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও জামিন এবং রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতায় জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন। এই মৃত্যু প্রমাণ করে বর্তমান সরকার কতটা অগণতান্ত্রিক, নাগরিকদের অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা কত কম! মুশতাকের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতি, এই আইনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, ছাত্রনেতাদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে আরো বলেন, তেল-চাল, আটা, সবজিসহ নিত্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি প্রমাণ করে বর্তমান সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার কোন উদ্যোগ না নিয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় রাখার দাবি জানিয়ে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

(আর/এসপি/মার্চ ০৯, ২০২১)