বগুড়ায় দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের মারামারি
বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করা নিয়ে প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে এই মারামারি সংঘটিত হয়।
জানা যায়, বুধবার (১০ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া শহরের সাতমাথায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মারামারির সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন উপস্থিত ছিলেন। এতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
সাজেদুর রহমান শাহীন জানান, আগামী ১৩ মার্চ বগুড়ার শেরপুরে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি’ পরিদর্শনে আসবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান। কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়েছিল- দুপুর ১২টায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উত্তর শাখার এবং ৩টায় দক্ষিণ শাখার সভা ডাকা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী উত্তরের নেতা মশিউর রহমানের নেতৃত্বে সভা শুরু হলে সেখানে দক্ষিণের সভাপতি নাছিমুল বারীর নেতৃত্বে কয়েকজন বাধা দেন। একপর্যায়ে কিছু নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেন। হামলায় ৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল, উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক এনামুল এবং উত্তরের সদস্য সোহাগ আহত হয়েছেন। তাঁদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত এবং সংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।
নিজেকে বগুড়া শহর কমিটির সভাপতি দাবি করা নাছিমুল বারী জানান, গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিভাগীয় শহর ও মহানগর ব্যতীত কোথাও উত্তর-দক্ষিণ কমিটি গঠনের বৈধতা নেই। বগুড়া যেহেতু পৌরসভা, এখানে একটি মাত্রই বৈধ সাংগঠনিক কমিটি আছে তা হলো ‘বগুড়া শহর কমিটি’।
নাছিমুল বারী আরও জানান, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের সফর উপলক্ষে বগুড়া শহর কমিটির পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত প্রস্তুতি সভা দুপুর ১২টায় আরম্ভ হয়। সভা চলাকালিন “উত্তর কমিটি”র নেতা-কর্মী দাবি করা ১৫ থেকে ২০ জন বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষ একসঙ্গে প্রস্তুতি সভার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু জেলা কমিটির সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন নিজেই আমাদের ব্যানার নামিয়ে “উত্তর শাখা”র ব্যানার টাঙিয়ে দেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। কারও ওপর হামলা বা মারধরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অানে। এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পায়নি পুলিশ।
(আর/এসপি/মার্চ ১১, ২০২১)